ফেনীতে শীত মৌসুমের শুরু থেকেই পিঠা বিক্রির হিড়িক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৩
ফেনীতে শীত মৌসুমের শুরু থেকেই পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। জেলার বিভিন্ন লোকালয়ে চলছে পিঠা বিক্রির হিড়িক। এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানী হিসেবে লাকড়ি কিছু গুড়, নারকেল ও চাউলের গুড়া দিয়ে শুরু করা হয় এ ব্যবসা। পিঠা ব্যবসায়ীদের লাকড়ীরপরিবর্তে গ্যাসের চুলা ব্যবহার করতেও দেখা যাচ্ছে।
জেলার ট্রাংক রোড়, মিজান রোড়, ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় গেইট, হাসপাতাল মোড, মহিপাল সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজার গুলোতে শীত মৌসুমের জমজমাট ভাপা, চিতই, পুলি, ডিমপিঠা ব্যবসা চলছে। ক্রেতাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মত। এ ব্যবসা চলে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খায়, আবার অনেকে বাড়ির জন্য ও নিয়ে যায়। চিতই পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরিষা, শুঁটকি বাটা, ডিম দিয়েও পিঠা বিক্রি করে। এক একটি পিঠার দাম নেয়া হয় ১০ থেকে ২৫ টাকা। পিঠা তৈরীর বেশির ভাগ দোকানের ব্যবসায়ী হয় পুরুষ পাশাপাশি মহিলাও আছে।
পিঠা বিক্রেতা ফুল মিয়া জানান, প্রতি বছর শীত এলেই আমরা পিঠা বিক্রি শুরু করি। শীতের প্রকোপ যত বেশি থাকে পিঠা বিক্রিও বেড়ে যায় । প্রতি দিন বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিন থেকে চার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করি। যে পিঠায় গুড় ও নারকেল দেয়া হয় সে সব পিঠার ক্রেতা বেশী। পিঠা খেতে আসা মানুষ জানান, শীতের সময় ভাপা ও চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই অন্যরকম। গরম গরম ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা দেখলে লোভ সামলানো দায়।
জাবের নামে এক ক্রেতা জানান, কর্মব্যস্ততার কারণে বাসায় পিঠা তৈরি করে খাওয়া অধিকাংশ সময়ই সম্ভব হয় না । ফলে রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিনে খেতে হয়। তবে পিঠা যারা তৈরি করেন তারা যেন ধুলা বালি থেকে রক্ষা করে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে পিঠা তৈরি করেন।
সাধারণত চাউলের গুঁড়ার সাথে নারিকেল, খেজুর গুড় মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভাঁপা পিঠা । প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ শত পিস পিঠা বিক্রি করেন একজন বিক্রেতা।
জেবি/এসবি