সাভারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবষর্ণ, গুলিবিদ্ধ ২
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, ৩১শে জানুয়ারী ২০২৩
সাভারের আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবর্ষণকারি এম এ মতিনকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিলে তাকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার কুদ্দুস ও তার প্রতিবেশী হুমায়ূন। হুমায়ূনের বাম হাতে গুলি লেগেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।
গুলিবর্ষণকারী এমএ মতিন আশুলিয়ার গাজিরচটের ঊষাপোল্ট্রি মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগেও ঊষাপোল্ট্রি এলাকার সাবেক সেনাকর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি জমি দখলের একাধিক মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। আজ জমিতে এমএ মতিন তার স্ত্রী ও পুত্র বিদেশী অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে। এসময় হুমায়ূন, কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন বাধা দিলে মতিন তার ছেলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এসময় কুদ্দুস ও হুমায়ুন দুই জনই গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা এমএ মতিনকে গণধোলাই দিয়ে গুলিবিদ্ধ হুমায়ুন ও কুদ্দুসকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনা সত্যি। আমি যতদুর জানি মতিনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। এঘটনায় এলাকাবাসী মতিন ও তার পুত্রকে গণধোলাই দিলে পুলিশ তাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
সাভার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, দুপুরে হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তি বাম হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষই আহত হয়েছেন আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখনই কাউকে আটক বলা যাবে না। আমরা আগে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে আমরা জানাবো।