পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন জেলা ও দায়রা জজ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন জেলা ও দায়রা জজ
জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখের পৈত্রিক রেকর্ডীয় সম্পত্তি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ায় পৈত্রিক রেকর্ডীয় সম্পত্তির ওপর বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখ।


এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিচারকের ভাই মোকসেদ আলী শেখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ভাই ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখ নিজের নামে রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম ঠান্ডা মুন্সি, তার ছেলে মামুন মুন্সি ও সুমন মুন্সি ওরফে সাদ্দাম পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ভাই আকবর আলী শেখের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উক্ত জায়গা তাদের দাবি করে বেশ কিছু মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায়।


মোকসেদ আলী শেখ  অভিযোগ করেন, কয়েক বছর পূর্বে রফিকুল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমাদের জমি দখল করে জোরপূর্বক পাকা ভবন নির্মাণ করেন। বাঁধা দিতে গেলে আমরা হামলা মামলার শিকার হই। রফিকুল ইসলামের ছেলেদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যাকলাপের কারণে একাধীকবার তারা জেল খেটেছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলেও জানান তিনি।


৬৭ বছর বয়সী প্রতিবেশী শাহাদাত হোসেন খলিফা বলেন, ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি এটা জজ সাহেবের পৈত্রিক সম্পত্তি। ওয়ারিশ সূত্রে এখন জজ সাহেবই এই জমির মালিক। জজ সাহেব নিজস্ব জায়গাতেই ভবন নির্মাণ করছেন।


 এলাকার মুরব্বী শহিদুল ইসলাম ও কোটালীপাড়া পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামাল হোসেন সরদার বলেন, জমি ও জজ সাহেব সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী যে তথ্য দিয়েছে তা সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। ভবনটি বিচারক আকবর আলী শেখ তার নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তি।


এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে রফিকুল ইসলাম ঠান্ডা মুন্সির বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার পুত্রবধুকে পেলেও তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।