জলাশয় দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


জলাশয় দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ
মাটি ভরাট করা হচ্ছে

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে  প্রভাবশালী মহল দখল করে নিচ্ছে এক সময়ের জমিদার রায় বংশধর রাজা জানকী নাথ রায়ের ছেলে রাজা রমেন্দ্র নাথ রায়ের সম্পত্তি এককুনে ১৯ একর ৮১ শতাংশ । তখনকার আমলে উক্ত জমিতে দিঘী খনন করা হয় এবং পাক ভারতের যুদ্ধের পূর্বেই তৎকালিন ১৯৬৫ সনের যুদ্ধের পূর্বে তারা এই সম্পত্তি ত্যাগ করিয়া ভারতে চলে যান। যাওয়ার সময় উক্ত সম্পত্তি কারো কাছে বিক্রী করে যাননি।

 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল মৌজার ৪৩৮৫ খতিয়ানের অন্তরভুক্ত রায় বাহাদুরের সম্পত্তি পরবর্তি সময়ে ক ও খ তফসিলের আওতায় চলে গেলে এলাকার ঈমান উদ্দিন খোড়া,বাবুর আলী সরদার,কদম আলী সারেং সিকিম আলী আকন ও রাজা মিয়া সরকারী বিধিমোতাবেক লীজ নেয় যাহা লীজ ক্রমিক নং ৪৪ তারিখ ০৬-০১-১৯৯৪ইং এবং উক্ত সম্পত্তিতে বিদ্যমান রয়েছে। 


বালাসুর গ্রামের সমির উদ্দিন বেপারীর ছেলে প্রভাবশালী আলেপ বেপারী ভুয়া বানোয়াট কাগজপত্র তৈরী অর্পিত সম্পত্তির মালিক সাজে এবং বর্তমান মুন্সীগঞ্জ ১ সংসদ সদস্যের লোকজনের দ্বারা জোরপূর্বক দখল করিয়া উক্ত জলাশয়টি ড্রেজারের মাধ্যমে চলছে ভরাট কাজ। 


সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ন আহব্বায়ক আখি শাহিনের নজরে এলে তিনি অবৈধ দখল রোধে সরকারী মহলের কতৃপক্ষকে অবগত করালে সরেজমিনে গিয়ে ড্রেজারের কার্যক্রম শিলগালা করে দেন। এর পরেও ম্যানেজ শক্তি ব্যবহার করে পুনরায় জৈনিক আলেপ বেপারী নিজেকে সরকারী সম্পত্তির মালিক দাবী করে ড্রেজার ধারা মাটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আইনের তোয়াক্কা না করে।


পরবর্তি সময়ে সরকারের পক্ষে উক্ত সম্পত্তির ভুয়া নামজারী কারক আলেপ বেপারীর নামজারীটি খারিজ এর জন্য  বাদী হয়ে  একটি মিস কেইস করেন আখি শাহিন। 


এই মিস কেইসকে কেন্দ্র করিয়া আলেপ বেপারী গংরা আখি শাহিনকে প্রাণে নাশের হুমকি প্রদান করার পরও সেখানে থেমে না থেকে হয়রানী করার লক্ষে তার নামে  মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আলেপ বেপারী ।

  

আখি শাহিন নিজের নিরাপত্তা ও সরকারী সম্পদ রক্ষার জন্য আবেদন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,ভুমিমন্ত্রী,আইনমন্ত্রী,জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর,উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর। 


এদিকে প্রভাবশালী আলেপ বেপারী আইনের তোয়াক্কা না করে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে দাপ্তরিক অবস্থা ম্যানেজ করে নামজারি করে নেয়। যাহা অবমুক্তির লক্ষে জেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী আখি শাহিনের দায়ের করা মিস কিইসটি এসিল্যান্ট কোটের্- চলমান। বর্তমানে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের কাজ ও অব্যাহত রয়েছে।


জনস্বার্থের মামলা ও এ পথ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বাদী আখি শাহিনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শনের  বিষয়ে অবৈধ দখলকারী আলেপ রেপারী গংদের বিরুদ্ধে আখি শাহিন শ্রীনগর থানায় একটি জিডিও মুন্সীগঞ্জ কোর্টে একটি ১০৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন যাহা চলমান। 


অন্যদিকে সরেজমিনে তদন্তক্রমে সত্যতার আলোকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: এম কে এ সিদ্দিক রাষ্ট্র পক্ষে বাদী হয়ে আলেপ বেপারী কে আসামী করে বিজ্ঞ জেলা স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন  বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ ( সংশোধিত-২০১০) এর ৬ঙ ও ৯ ধারা লংঘন আইনে।

 

এবিষয়ে আলেপ বেপারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার পক্ষের লোকজনসহ সংবদ কর্মীর অফিসে এসে হুমকি প্রদর্শন করে এবং বলে আমি আলেপের পিছনে কে আছে তুমি তা জান? বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় শক্তি আমার পক্ষে। কত সংবাদ কর্মী এলো গেলো ,এই সংবদ প্রকাশ করলে তুমাকে দেখে নিব। রাতের আঁধারে গুম করে ফেলার হমকি দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করেই কিছু করতে পারেনি আর সাংবাদিক তো সেখানে কিছুই না। 

 

প্রসঙ্গত:আলেপ বেপারী সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে গত ২১/১/২০০৪ ইং তারিখে  শ্রীনগরে  রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের সিরাজ মীরকে গভীর রাতে ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে চকের মাঝে কেরসিন দিয়াআগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এবিষয়ে আলেপ বেপারীর নামে ফাঁসির দাবীতে একাধিকবার মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। আলোচিত ঐ সিরাজ হত্যা মামলার প্রধান তালিকাভুক্ত আসামী আলেপ বেপারী। 


এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়েরকৃত  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি এডভোকেট রহুল আমিন বলেন,উক্ত মোকাদ্দমাটির চার্জ শুনানীর দিন ধার্য রহিয়াছে। আসামী বর্তমানে জানিনে আছে,মামলাটি চলমান।


আরএক্স/