নতুন রাষ্ট্রপতির বেতন ও অন্যান্য সুবিধা

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ এপ্রিল বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি হবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পরবর্তী উত্তরসূরি। 

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

এর আগে দুপুরে রাষ্ট্রপতি পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় মো. সাহাবুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

দেশের সংবিধান ও দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (সংশোধন) অ্যাক্টে রাষ্ট্রপতি কী কী ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা বলা আছে। তাই নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনও এসব ক্ষমতা ও সুযোগ–সুবিধা ভোগ করবেন।

দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (সংশোধন) অ্যাক্ট অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই টাকা আয়করমুক্ত। আগে এই বেতন ছিল ৬১ হাজার ২০০ টাকা। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তা বাড়ানো হয়। রাষ্ট্রপতি আপ্যায়নের (এন্টারটেইনমেন্ট) জন্য বছরে ভাতা পান। এই টাকার নিরীক্ষা হবে না। রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি বাসভবন (বঙ্গভবন) থাকবে, যার সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে সরকার। স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা পাবেন। রাষ্ট্রপতি অফিশিয়াল কাজে দেশের বাইরে গেলে সরকার নির্ধারিত ভাতা পাবেন। রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন তহবিল বছরে দুই কোটি টাকা।

রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেই খরচও সরকার দেবে।

রাষ্ট্রপতি বিমানে ভ্রমণ করলে বিমাসুবিধার ব্যবস্থা আছে। এই বিমাসুবিধা এখন বছরে ২৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের আগে ছিল ১৫ লাখ টাকা। এ রকম আরও বেশ কিছু সুবিধা পান রাষ্ট্রের ১ নম্বর ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি।

এছাড়া দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনেই পাস হচ্ছে রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন-২০১৬। এরমধ্যে দিয়ে বৈধ রাষ্ট্রপতিরা অবসরকালীন বর্ধিত ভাতা পাবেন, তবে বাদ যাবেন অবৈধ রাষ্ট্রপতিরা।