রাজনীতিতে মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন গোপালগঞ্জের আকতার উদ্দিন মিয়া


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


রাজনীতিতে মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন গোপালগঞ্জের আকতার উদ্দিন মিয়া
আকতার উদ্দিন মিয়া

রাজনীতিতে মরণোত্তর একুশে পদক-২০২৩ পাচ্ছেন গোপালগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আকতার উদ্দিন মিয়া।


১৯২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্মনেওয়া আক্তার উদ্দিন  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মূল সংবিধানে স্বাক্ষরদাতা।  ১৯৭০ ও ১৯৭৯ সালে  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এমপির দায়িত্ব পালন করেন।  তাছাড়াও ২য় বিশ্বযুদ্ধের রনাঙ্গণের সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর ফিল্ড মার্শাল মন্টোগোমারি ও গোপালগঞ্জ মহাকুমা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ছিলেন তিনি। 


এছাড়াও এবারের একুশে পদক পুরস্কারের জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শামসুল হক (মরণোত্তর), অভিনেতা মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ, সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), চিত্রশিল্পী কনক চাঁপা চাকমা, আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।


ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান।


শিল্পকলায় (অভিনয়) মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ, শিল্পকলায় (সংগীত) মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (আবৃত্তি) জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান, শিল্পকলায় (চিত্রকলা) কনক চাঁপা চাকমা।


মুক্তিযুদ্ধে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর, সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ড. মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক, রাজনীতিতে এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে মনোনয়ন পেয়েছেন ড. মনিরুজ্জামান (মরণোত্তর)। এছাড়া একুশে পদকের জন্য মনোনীত দুটি প্রতিষ্ঠান হলো: শিক্ষায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। 


একুশে পদক বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একুশে পদক দেয়া শুরু হয় ১৯৭৬ সালে।


পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি আঠারো ক্যারেটের স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।