মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত নিয়ামতপুরের প্রকৃতি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত নিয়ামতপুরের প্রকৃতি
মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত নিয়ামতপুরের প্রকৃতি

বসন্তের আগমনে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার বাগানগুলোতে। গাছে গাছে ফুলের মুকুল বার্তা দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের।


থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আমগাছের ডালপালা। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বসন্তের নান্দনিক সাজে সেজেছে আমগাছগুলো। বসন্তের সোনালী হলুদ রংয়ের আমের মুকুলের মনকাড়া সু-গন্ধ, মৌমাছিরা দলে দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে গুন গুন শব্দে মুকুলের উপর। ছোট ছোট পোকা-মাকড় ও পাখিরাও মুকুলে বসে মনের আনন্দে স্বাদ নিচ্ছে। 


এমন দৃশ্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে আম গাছে গাছে। এ যেন এক অপরূপ প্রকৃতি। গাছগুলোতে মুকুলের সঙ্গে গুটি গুটি আমের দেখাও মিলছে। রাতের ঘন কুয়াশা আর শিলা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলে এবছর আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক ঔষধ প্রয়োগসহ গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নিয়ামতপুর উপজেলার আম বাগান মালিকরা। 


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ শত হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। 


উপজেলার আম বাগান মালিকরা জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলকে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা। 


শখের বাগান চাষি জনি আহমেদ জানান, তার অল্পকিছু চালা জমি রয়েছে সেখানে আমের গাছ লাগিয়েছেন। প্রাকৃতিক কারণে এবার অতীত সময়ের চেয়ে আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। গাছে গাছে অজস্ত্র মুকুল দেখে এবার বাম্পার ফলনের আসা করা যাচ্ছে। 


নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান জানান, আমাদের বাণিজ্যিকভাবে তেমন কোন আমের বাগান নেই, তবে ছোট বড় আম বাগান ও বসতবাড়িতে আম চাষ হয়ে থাকে। সময় মত সামান্য বৃষ্টি হওয়া ও ঘন কুয়াশা না থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরো জানান, আম চাষে উৎসাহিত করতে এলাকার আম চাষিদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।