পাইলট তৌকির মা-বাবা জানতেন না ছেলে মারা গেছেন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৫০ অপরাহ্ন, ২১শে জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট তৌকির ইসলামের পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী থেকে ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) বিকেল পর্যন্ত সাগরের মা-বাবা, বোন জানেন না তিনি মারা গেছেন। জীবিত দেখার আশায় তারা বিকেলে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকায় রওনা হন।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে বিশেষ একটি ফ্লাইটে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা ঢাকায় পৌঁছান নিহত সাগরের পরিবারের লোকজন।
রাজশাহীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের আশ্রয় ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন নিহত বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের পরিবার। তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, বোন সৃষ্টি ও বোনজামাই বসবাস করেন এখানে।
আরও পড়ুন: নিহত পাইলট তৌকিরের রাজশাহীর বাড়িতে শোকের মাতম
বাসার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির ইসলাম সাগর প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা বিমানযোগে ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল ৪টা ৩০মিনিটের দিকে র্যাবের একটি মাইক্রোবাসে করে ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে রাজশাহী শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারা ঢাকা রওনা হন।
আতিকুল ইসলাম আরও জানান, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের বাবা-মা, বোন ও বোন জামাই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তার মৃত্যুর খবর জানতেন না। পরিবারের সদস্যরা জানেন সাগর জীবিত ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট এলাকা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুটভুটি উল্টে নিহত ১
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম রাজশাহীর ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরে পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। গত এক বছর আগে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন। তার পিতা আমদানি রপ্তানির ব্যবসা করেন।
এর আগে, সোমবার দুপুরে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনি আহত হন। উদ্ধারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সি এম এইচ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন।
এমএল/