‘সন্দেহের জের ধরে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করে জেমিন’
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার সী আলিফ হোটেলে স্ত্রী সুমা দে ও ৮ মাস বয়সী কন্যা শিশুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জেমিন বিশ্বাস। স্ত্রীর প্রতি সন্দেহের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনাটি সংগঠিত করা হয়।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেমিন বিশ্বাস চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বানীগ্রামের দুলাল বিশ্বাসের ছেলে। গত ৩ মাস আগে ওমান গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন জেমিন। নানা কারণে স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ এবং ছোট্ট মেয়েকের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে জেমিন। জেমিন জানিয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বড় ২ মেয়েকে নাস্তার কথা বলে নিচে নামিয়ে স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ৮ মাসের মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা। এরপর ২ মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সে।
এএসপি জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেমিনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পর কক্সবাজার আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানা এলাকার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মার্শা পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে থেকে জেমিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এর আগে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম।
নিহত সুমা দে বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দে'র মেয়ে। সুমার কোন নিকটাত্মীয় নেই আর জেমিনের খালাত বোনের স্বামী সৈকত দাশ ময়নাতদন্ত শেষে ২ জনের মরদেহ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল সি আলিফ এর ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরএক্স/