হাটহাজারীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের ছাত্র বলৎকার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
হাটহাজারী প্রতিনিধি: হাটহাজারীতে একটি মাদ্রাসায় ১১ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মেখল ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার মাদ্রাসা মু’আজ বিন জাবাল (রা:) নামক মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক ৩০ বছর বয়সী আব্দুল করিম এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আব্দুল করিমের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী বলে জানা গেছে। বুধবার (২২ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর যাবত আব্দুল করিম ঘৃণিত কাজ করে যাচ্ছিল। প্রায় ২০বার এই ঘৃণিত কাজটা করে অভিযুক্ত আবদুল করিম। তবে ঘটনাস্থলে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে। ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পালিয়ে গেলেও আব্দুল করিমকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ এনে তার সহপাঠী মুরশেদ নামের আরেক শিক্ষককে আটক করে স্থানীয়রা।
এদিকে আব্দুল করিমকে পালাতে সাহায্য করেছেন কিনা জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে মুরশেদ বলে, এ ধরনের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও আমরা কেউ বুঝতে পারেনি মাদ্রাসায় এ ধরনের ঘটনা চলছে। এবিষয়ে কেউ কখনো মুখ খুলেননি তাই আমরা আগে থেকে জানতাম না। ভুক্তভোগির মা ঘটনাটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে আব্দুল করিম পালিয়ে যাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার ছেলে প্রথমে এই মাদ্রাসায় ছিলো তারপর অন্য আরেকটি মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম, পরে সেখান থেকে নিয়ে আসার জন্য আব্দুল করিম আমাকে নানানভাবে বুঝিয়েছে, তার কথামত আমি আবারো এই মাদ্রাসায় বছর খানেক আগে ভর্তি করিয়ে দিই। সেইদিন থেকে আমার সহজ সরল ছেলেটাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেলের সাথে খারাপ কাজ করে আসছে।
বিষয়টি আমি আগে থেকে জানতাম না, ছেলে কথাবার্তা আমার কাছে সন্দেহ হলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে মুখ খুলে। তারপর মাদ্রাসা কতৃপক্ষ স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে মোরশেদ এর সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যায়। প্রবাসে অবস্থানরত ভুক্তভোগির বাবার সাথে পরামর্শ করে মামলার সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।
এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী মাদ্রাসার মত পবিত্র স্থানে এমন ঘৃণিত কাজ হতে থাকলে একসময় মানুষের উপর থেকে মাদ্রাসার বিশ্বাস উঠে যাবে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মুকিব হাসান বলেন, আমি এমন একটি ঘটনা শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।