কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কৃষি জমির ক্ষতি এড়াতে হাওরে উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, ১লা মার্চ ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, ফসলের উৎপাদন বাড়ে, মাছের উৎপাদন বাড়ে, তরিতরকারী-ফলফুলের উৎপাদন বাড়ে, মানুষ খেয়ে পড়ে সুখে থাকে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আগামীতে একমাত্র নৌকা মার্কার সরকার আসলে আপনাদের উন্নতি হবে, দেশের উন্নতি হবে। হাওর অঞ্চলে আমরা যে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছি, তা অব্যাহত থাকবে। কৃষি জমির ক্ষতি এড়াতে এখন থেকে হাওরে উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদরের হেলিপ্যাড মাঠে বিশাল সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে। সেই সম্পদ বিদেশে পাচার করে এখন আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। আর দেশের মানুষ যখন কষ্ট পায়, তখন তারা আরও কষ্ট দেয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে। যারা বোমা মেরে, আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করতে পারে, তারা কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত বা ২০ দলীয় জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মিঠামইনে ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জমির ওপর নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে দুপুরে মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী। নিজের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে দুপুরের খাবারে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরের খাবারে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সাদা ভাতের সঙ্গে হাওরের ১৬ পদের মাছ, ডাল, রসমালাই দিয়ে আপ্যায়ন করেন রাষ্ট্রপতি। বিশ্রামের পর বিকাল ৩টায় মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন তিনি। সমাবেশস্থলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে পৌঁছানোর সাথে সাথে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান তারা। বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে সমাবেশে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল হক। সমাবেশ শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্ললুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম. এ আফজল প্রমুখ।