পুত্রের জন্ম দেওয়ার বদলে কারিনার মৃত্যু চেয়েছিলেন অনেকে


Janobani

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:১৩ অপরাহ্ন, ৪ঠা মার্চ ২০২৩


পুত্রের জন্ম দেওয়ার বদলে কারিনার মৃত্যু চেয়েছিলেন অনেকে
সাইফ-কারিনা ও তাদের সন্তান তৈমুর

বয়স চার ছুঁইছুঁই, কথা ও ভাল করে বলতে পারে না । ইতোমধ্যেই সাইফ-কারিনার সন্তান তৈমুর ‘স্টার’। এ বার স্বয়ং সাইফ জানিয়ে দিলেন পুত্রকে নিয়ে তার ইচ্ছার কথা। তিনি চান বড় হয়ে তার সন্তান অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিক।


কিন্তু এক সময় সন্তানের নাম ‘তৈমুর’ রাখায় ঘোর আপত্তি উঠেছিল ভারতে। কেউ কেউ সন্তান জম্ন দেওয়ার আগে কারিনার মৃত্যু চেয়েছিলেন।


পুত্রের নাম তৈমুরের বদলে অন্য কিছু দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করেছিলেন সাইফ। যদিও কারিনা অন্য কথা বলেন। সন্তানের নাম নিয়ে কি হয়েছিল তখন, জানালেন শর্মিলা ঠাকুর।


২০১৬ সালের ডিসেম্বরের ২০ তারিখে জন্ম নেয় কারিনা-সাইফের প্রথম সন্তান তৈমুর। সে সময় মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। তাই কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন, “তৈমুরের জন্ম দেওয়ার চেয়ে জিকায় আক্রান্ত হতে পারতেন কারিনা! তা হলে আর বাচ্চাটা জন্মাত না। 


পুত্রের নাম প্রকাশ্যে আনতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শর্মিলা বললেন, “সবাইকে খুশি করে চলা যায় নাকি! তাই চেষ্টা করারও মানে হয় না।” 


তিনি বলেন আমি একটি পোস্টও পড়েছিলাম যেখানে লেখা ছিল, ‘করিনার জিকা হলে তৈমুরের জন্ম হত না!’ আমি শুধু ভাবছি, মানুষ কী ভাবে এমন চিন্তা করতে পারে? একটা সদ্যোজাত শিশুকে দেখে কারও এই কথা মনে এলে সেটা রাগ নয়, অন্য কিছুর বহিঃপ্রকাশ। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, তার ভয় করে, কোন পৃথিবীতে আছেন তা ভেবেই। ব্যথায় ভারী হয়ে আসে তার হৃদয়।


সাইফকেও এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয় এ নিয়ে তখন এই অভিনেতা জানান, ২০১৭ সালে পুত্রের নাম বদলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনিও চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু কাউকে জানাননি। যদিও কারিনা অন্য কথা বলেন। তার যুক্তি ছিল, “মানুষ তোমার মতামতকে শ্রদ্ধা জানায়। যা সিদ্ধান্ত নেবে নাও। তবে বার বার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দরকার নেই” 


সাইফ অবশ্য জানান, লোকের কথা তিনি ভাবছেন না। তার ভয় ছিল, যদি বিখ্যাত হওয়ার বদলে তৈমুর জনপ্রিয়তা হারায়?


সাইফের কথায়, “আমি আর আমার সহকারী এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে রাজিও হয়ে যাই। তৈমুরের তখন ২ বছর বয়স। নাম বদলের জন্য একটা লিখিত আবেদন সাজিয়ে ফেলি কিন্তু আবার আমরা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি।”


আরএক্স/