বসন্ত উকি দিচ্ছে হাবিপ্রবির আঙিনায়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বসন্ত উকি দিচ্ছে হাবিপ্রবির আঙিনায়

দুদিন পরেই ফালগুনের হাত ধরে আগমন ঘটবে বসন্তের । উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ফুলে ফুলে ভরে উঠা অপরূপ সুন্দর ক্যাম্পাস যেন জানান দিচ্ছে বসন্তের সেই আগমনী বার্তার।

ষড়ঋতুর এই দেশে পাতাঝরা শীতের শেষে প্রকৃতিকে নতুন সবুজের রঙে রাঙিয়ে আসে বসন্ত। আর বাহারি রঙের ফুল গুলো যেন মনোমুগ্ধকর আয়োজনে বরণ করে নেই ঋতুরাজকে। হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেও একই রকম অবস্থা বিরাজ করছে। যেদিকেই তাকাই  চোখে পড়ে রংবেরঙের ফুল আর লাল ইটের এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। এই মনোরম দৃশ্যকে আরো মায়াবী করে তোলে নবনির্মিত সাদা কমলা রঙের দশতলা একাডেমিক ভবন।



কিছুদিন আগেও শীতে কাপছিলো উত্তরবঙ্গ। শীতের রিক্ততায় ঝরে পরা পত্র-পল্লবে শিশির বিন্দু আর ঘন কুয়াশা বলছিলো শীত যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। এদিকে হাবিপ্রবির আঙিনা যেন প্রস্তুতি নিচ্ছে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার। গাছে গাছে নতুন সবুজ পাতা আর রঙিন ফুল গুলো যেন কোকিলের গান শোনার জন্য বর্ণীল সাজে সেজে বসে আছে। প্রকৃতির এই বসন্ত বরণের প্রস্তুতি দেখতে প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা মেলে দর্শনার্থীদের।

হাবিপ্রবির প্রধান ফটক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, একাডেমিক ভবন সমূহ, প্রশসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন ও হল সমূহ সহ রাস্তার আশেপাশে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গাঁদা, সিলভিয়া, দোপাটি, ক্যালেন্ডোলা, ডায়েনথাঁচ, ফ্লক্স, ইন্টাহেরেনিয়াম, ভারবিনা, পিটুনিয়া, মৌচন্ডা, পয়েন্টচেটিয়া, অ্যালমন্ডা, গ্রাডুলাস, ইনকা গাঁদা, চায়না গাঁদা, জাম্বু গাঁদা, মোরগঝুঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি ছাড়াও আছে টগর, বেলি, ক্রিসমাস, জবা, দেবকা ন, স্থল পদ্ম,গন্ধরাজ,জিনিয়া,পপি, রঙ্গনসহ প্রায় অর্ধশত জাতের ফুল।



ঋতুরাজ বসন্ত যে শুধু প্রকৃতিকেই রঙিন করে না, রাঙিয়ে তরুণ হৃদয়কেও। প্রকৃতির সাথে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাও মনে মনে প্রস্তুত বসন্তকে বরণ করে নিতে। বসন্তের এই আগমন যেন তাদের মনেও দোলা দিচ্ছে। তাদের বসন্ত নিয়ে গান, আড্ডা আর রঙিন ফুলের সাথে ছবি তুলার প্রতিযোগিতা তারই বহিঃপ্রকাশ। এছাড়াও অনেকেই মনে মনে বসন্তকে নিয়ে সাজিয়ে ফেলেছে কাল্পনিক সব পরিকল্পনা। অনেকে আবার বসন্তের সাজ পোশাকের কেনাকাটাও শুরু করে দিয়েছে প্রকৃতির সাথে সেজে উঠার জন্য।

ক্যাম্পাসের এই ফুলের মুগ্ধতা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থী কেয়া আফরিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেই এতো ফুলের সমাহার দেখে মনটা নেচে উঠে। আজ কোন ফুলের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবো তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে যেতে হচ্ছে। ফুল গুলো মনে বসন্তের হওয়া লাগিয়ে যায়। আমারও সাজতে ইচ্ছে করে ওদের মতো। এতো এতো ফুলের জন্য ক্যা¤পাসের উপর এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।”

ফুলে ফুলে সুবাসিত, চারদিকে রঙের মেলা এতো আর কিছু নয়, প্রকৃতির সাথে বসন্তের খেলা। তারুণ্যের চ লতা আর ফুলে ফুলে ভরে উঠা ফুলেল হাবিপ্রবি ক্যা¤পাস যেন সৌন্দর্য আর গন্ধ ছড়িয়ে বলছে “বসন্ত আসছে”।

এসএ/