Logo

কুবির সাবেক উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:১৩
38Shares
কুবির সাবেক উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ছবি: সংগৃহীত

ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপরাধে এই মামলা করা হয়েছে

বিজ্ঞাপন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, সাবেক প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ ৩৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন উল্লেখ করে গত ১১ জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক পদার্থ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলাটিতে বাদী হিসেবে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেয়া মো. সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় এই মামলাটি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা আছে, হুকুমমতে বেআইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে সাধারণ জখম করা এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপরাধে এই মামলা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই মামলায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে। তারা সবাই প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে ছিলেন আন্দোলনের সময়। শিক্ষকরা হলেন- সাবেক প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, আইকিউএসি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু উবাইদা রাহিদ, সহকারী প্রক্টর ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামও রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন, সেকশন অফিসার রেজাউল ইসলাম মাজেদ, বিল্লাল হোসেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর মো মহসিন, আইকিউএসি'র অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর মো. জসিম, হিসাব বিভাগের অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর  মো. ফখরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মিজানুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া এই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকেও। বিবাদীর তালিকায় থাকা অনেক নেতা গত দুই বছর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এমন একটি নাম হলো- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত। আবার রাকিবুল ইসলাম রকি নামের একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই নামে কোন শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগে নেই।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া এই মামলায় অভিযুক্ত আরো আছে বিপ্লব চন্দ্র দাস, রেজা-ই-ইলাহী, এ এস এম সায়েম, অর্ণব সিংহ রয়, মাহমুদুর রহমান মাসুম, রাকেশ দাস, বিশ্বজিৎ সরকার, পার্থ সরকার, রিয়াজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, পারভেজ মোশারফ, এসকে মাসুমসহ আরো অনেকে।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তক্রমে আমাকে বাদী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই মামলাটিতে আমি বাদী হয়েছি।'

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ৩৬ জনের নামসহ এবং ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এখানে যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের নামও রয়েছে। আমাদের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এমএল/ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD