রাবিতে ২ শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ৫ দফা দাবি উত্থাপন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:২৯ অপরাহ্ন, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


রাবিতে ২ শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ৫ দফা দাবি উত্থাপন
ছবি: প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও বিভাগে নানা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 


বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মনোবিজ্ঞান বিভাগ অফিসের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি ও অবাঞ্চিতের ঘোষণা দেন। 


পরবর্তীতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া ও অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজের ছবি সংবলিত ব্যানারে 'অবাঞ্ছিত ঘোষণা' লিখে বিভাগের সামনে টানিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।


আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম


রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, পর্যাপ্ত ক্লাস না নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আক্রমণাত্মক আচরণ করে অনিয়ম-অবিচার করার অভিযোগ এনে অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অবাঞ্চিত করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যাদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা, রুমে ডেকে হুমকি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ এনে অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজকে বিভাগ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তারা।


শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো: ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং কোনো শিক্ষক কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া যাবে না। শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি বা রেষারেষি বন্ধ করতে হবে এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে রেজাল্ট ট্যাম্পারিং করা যাবে না। দলীয় প্রতিহিংসার শিকার ড. এনামুল হকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে দুই কর্মদিবসের মধ্যে তাকে একাডেমিক কাজে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কর্মী শ্রী রাম হেলা কে বিভাগে ফিরিয়ে আনতে হবে। ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই লিখিত দিতে হবে যে, উনারা ডিপার্টমেন্ট এর সকল কার্যক্রম রুটিন মাফিক করবেন।


আরও পড়ুন: নোবিপ্রবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন


মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী নাহিবুল ইসলাম বাবু বলেন, তারা দুইজন মিলে বিভাগটার অনেক ক্ষতি করেছেন। আমরা এই দুইজন শিক্ষকের কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য বিভাগ থেকে অপসারণ চাই। বিভাগের শিক্ষার্থীদের কুলাঙ্গার বলতে তিনি দ্বিধাবোধ করেন না। রেজাল্ট টেম্পারিং, শিক্ষার্থীদের রুমে ডেকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও মানসিকভাবে টর্চার করাসহ নানা অভিযোগ তাদের দুজনের নামে। বিশেষ করে অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেককে রুমে ডেকে নিয়ে অপমানিত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকারও বলেছেন তিনি।  


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ডিপার্টমেন্টে এই অন্যায় অবিচারের বিচার চাই। প্রফেসর ড.নাজমা আফরোজ ও ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া এর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।


অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন: খেলার স্পিরিট কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার আহবান ক্রীড়া উপদেষ্টার


এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজমা আফরোজ বলেন, আমাকে শিক্ষার্থীরা কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে এবং কেন করেছে তা আমি কিছুই জানি না। তারা কেউ আমাকে এ বিষয়ে কেউ অবহিত করেনি।


এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, আমি শুনেছি ছাত্ররা বিভাগের দুজন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। এবং কিছু যৌক্তিক দাবি বিভাগের সামনে অবস্থান করেছে। 


এমএল/