তৃতীয় দিনে জমজমাট চকবাজারের ইফতার বাজার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, ২৭শে মার্চ ২০২৩
প্রথম রোজা থেকেই জমে উঠেছে পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতার বাজার। জোহরের নামাজের পর থেকেই ইফতার সামগ্রী কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ক্রেতারা।
ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পণ্যের দামই চড়া। ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়’ এর দাম কেজিতে বেড়েছে দুইশ’ টাকা। আর সুতি কাবাবের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তারপরও শখ মেটাতে কেনাকাটায় কার্পণ্য নেই রোজাদারদের।
এ ছাড়া মুরগি, গরু, খাসি, কবুতর, কোয়েল পাখিসহ বিভিন্ন গোশতের আইটেম দেখলেই জিভে পানি চলে আসে। এর পাশাপাশি পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা, পরোটাসহ বিভিন্ন ফলের সমাহার তো আছেই। আছে নানা রকম শরবত ও মিষ্টির আইটেম।
ঐতিহ্যবাহী এ বাজারে তাই শুধু পুরান ঢাকার বাসিন্দারাই নয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে আসেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ইফতার কিনতে আসা হাফিজুর রহমান বলেন, এবার সব ধরনের ইফতারির দাম বেড়েছে। গতবার যে খাবার এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি ছিল, এবার সেটি ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুতি কাবাবের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সুমন নামে এক বিক্রেতা বলেন, এবার গরু ও খাসির গোশতের দাম অনেক বেড়েছে। এ কারণেই আমরা সুতি কাবাবের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।
এখানে প্রতি পিস ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের শাহী জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে। গত বছরের চেয়ে এ জিলাপির দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। ছোট আকারের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
খাসির রান প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা; চিকেন তন্দুরি ১৩০ টাকা; চিকেন কারি ১৩০ টাকা; গরুর কারি ১৫০ টাকা; মাঠা ১০০ টাকা কেজি; আস্ত মুরগির গ্রিল ৬০০ টাকা; বিফ জালি কাবাব ৪০ টাকা; কোয়েল পাখি ৮০-১০০ টাকা; ছোট পাকিস্তানি মুরগি ১৫০; বড় মুরগি ৩০০-৪০০ টাকা ।
পাশাপাশি বেগুনি, আলুর চপ, কোথাও ৫ টাকা, আবার কোনো দোকানে ১০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমচপ প্রতিটি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মগবাজার থেকে আসা ক্রেতা শাকিলুর রহমান বলেন, আগে থেকেই আমি এই চকবাজারে ইফতারি কেনার চেষ্টা করি। প্রথম রোজা শুক্রবার ছুটির দিনে হওয়ায় চলে এসেছি। এরপর আরো দু-একবার আসব। ইফতারি দাম কেমন জানতে চাইলে বলেন, আসলে গতবার যা ছিল তার চেয়ে একটু বেশি।
ইফতারি ব্যবসায়ী আলামিন মণ্ডল বলেন, ‘এ বছর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ইফতার তৈরির সামগ্রী কিনতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবুও আশা করছি বারবারের মতো এবারও জমজমাট ইফতারি উপহার দিতে পারব।