জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের ৬ লাশ এক বছর পর দাফন
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ৭ই আগস্ট ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো যে ছয়জনকে এক বছরেও শনাক্ত করা যায়নি, তাদের লাশ দাফন করেছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
সংস্থাটি বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে লাশ বুঝে নেয় বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশের পর তারা মরদেহগুলো আঞজুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
‘আজ সকালে তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি, উনারা দাফন করেছেন।’
খালিদ মনসুর বলেন, মরদেহগুলো এক বছরের বেশি সময় ধরে মর্গে ছিল। এ সময় অনেকেই শনাক্ত করতে এসেছেন। কয়েকজনের ডিএনএ নমুনা নিয়েও পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে শনাক্ত করা যায়নি।
‘তাদের ডিএনএ টেস্ট আগেই করে রাখা হয়েছিল। দাবিদার যারা এসেছিলেন তাদের সঙ্গে কারও ম্যাচ করেনি।’
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বলেন, ‘ওই ছয়টি মরদেহ আমরা পেয়েছি। দুপুর ২টার দিকে তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান বুধবার (৬ আগস্ট) বলেছিলেন, ওই ছয়টি মরদেহের ফরেনসিক প্রতিবেদন তৈরি করে তারা পুলিশের কাছে দিয়ে দিয়েছেন। তবে শনাক্ত না হওয়ায় মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। এ কারণে এখনও এগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। তারা পুলিশকে অনুরোধ করেছেন মরদেহগুলোর কোনো একটা ব্যবস্থা করতে।
‘সম্প্রতি একটা বৈঠক হয়েছে, সেখানে আমরা মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তারা জানিয়েছেন লাশগুলো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন তারা। শুনেছি দাবিদার হয়ে অনেকেই এসেছে, কিন্তু শনাক্ত করা যায়নি। তাই তারা মরদেহ বুঝে নিতে পারেননি।’
শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ৫ অগাস্টের আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকা থেকে এসব লাশ আসে। ময়নাতদন্ত অনুযায়ী, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণে’।
গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে ৮৩৪ জন নিহত হয়।