গেরিলা প্রশিক্ষণ মামলায় সুমাইয়া জাফরিন গ্রেপ্তার

কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরেই তাকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।’

এর আগে, বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সুমাইয়াকে হেফাজতে নেয় এবং মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

গোপন বৈঠক ও গ্রেপ্তার: গত সপ্তাহে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠকের সময় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৈঠকে গেরিলা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার দাবি করে ডিএমপি। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা করা হয়, যা তদন্ত করছে ডিবি।

সেনা সদস্যের সম্পৃক্ততা: ঘটনার পেছনে সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, গত ১৭ জুলাই ওই সেনা কর্মকর্তাকে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে আটক করে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়।

আইএসপিআর জানায়, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত শেষে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।