র‍্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, ২৭শে মার্চ ২০২৩


র‍্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
সুলতানা জেসমিন

নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা। 


গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করে র‍্যাব।


সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় ভাড়া থাকতেন তিনি। 


সুলতানা জেসমিনের মামা নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, বুধবার আমার ভাগ্নি অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলে রাস্তা থেকে র‍্যাব তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছিল তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। দুপুরে ভাগ্নির মোবাইল ফোন থেকে আমাদের নাতি সৈকতকে কল করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে আসতে বলে র‍্যাব। বিষয়টি জানার পর দুপুর ২টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখি ভাগ্নিকে স্যালাইন দেওয়া অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। পাশেই র‍্যাবের সদস্যরা ছিল। সুলতানা কথা বলতে পারছিল না। পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে সন্ধ্যায় তাকে রামেকে নেওয়া হয়। রামেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে সুলতানার মৃত্যু হয়।


নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, বুধবার দুপুরে র‍্যাবের সদস্যরা এক নারীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় ওই নারীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রামেকে রেফার্ড করা হয়। ওই সময় তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাইনি আমরা। তবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। 


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, র‍্যাবের ভাষ্যমতে ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিল। অজ্ঞান অবস্থায় এখানে এনে র‍্যাব তাকে ভর্তি করায়। পরে ওই নারীকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা শুরু করা হয়। ওই সময় সিটি স্ক্যান করলে তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখা যায়। মস্তিষ্কে মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় একটি ছোট্ট লাল দাগ ছিল। শরীরে অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।


এ বিষয়ে জানতে র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়কের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।