ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত দশম শ্রেণীর ছাত্র শরীফ বাঁচতে চায়


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৯শে মার্চ ২০২৩


ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত দশম শ্রেণীর ছাত্র শরীফ বাঁচতে চায়
শরীফ

শরীফের বাবা শহীদুল ইসলাম একজন চা বিক্রেতা, মা গৃহিণী। পরিবারে শরীফ ছাড়াও  আছে দুই মেয়ে। ছেলে বলতে এই শরীফ। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। 


ছেলে লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হবে এই স্বপ্ন ছিল মা-বাবার। কিন্তু নিয়তি বাধ সাধলো, ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিছানার পড়ে রয়েছে। তার সেবায় রয়েছে পড়াশোনা না জানা মমতাময়ী মা।


তাহলে কি শরীফের মা-বাবার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। শরীফ কি আর কোন দিন স্কুলে তার সহপাঠীদের সাথে খেলায় অংশগ্রহন করতে পারবেনা। 


বলছিলাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার দিগদাইর গ্রামের চা বিক্রেতা শহীদুল ইসলামের এক মাত্র ছেলে শরীফের কথা। শরীফ কেন্দুয়া পৌরসভার সায়মা শাহজাহান একাডেমির ছাত্র। 


শরীফের বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে শরীফের একটি চোখে সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ চোখের চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন আধ্যাপক ড: মো: আমিনুল হক আকন্দ কর্তৃক চোখসহ মাথায় বিভিন্ন পরীক্ষায় উঠে আসে শরীফের ব্রেন টিউমারের চিত্র।

 

পরে গত (২৭ ফ্রেবুয়ারি) শরীফকে ময়মনসিংহ নিয়ে গিয়ে ব্রেন ও স্পাইন বিশেষজ্ঞ ড: মো: হারুন -অর-রশিদের নির্দেশনায় উন্নত পরীক্ষার নীরিক্ষার মাধ্যমে ব্রেন টিউমারের বিষয়টিই ধরা পড়ে। পরে (১ মার্চ) তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


শরীফের বাবা শহীদুল ইসলাম আরো বলেন, ডাক্তার বলেছেন শরীফের ব্রেন টিউমার, চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা গরীব অসহায় মানুষ এত টাকা কোথায় পাব। তাই একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।


এদিকে শরীফের মা রুজিনা আক্তার বলেন, শরীফ বাঁচতে চায়। তার ইচ্ছা ছিল এসএসসি পাশ করে ভালো একটি কলেজে ভর্তি হবে। কিন্তু ছেলের মাথায় ব্রেন টিউমার দেখা দেয়ায় লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 


এই চিকিৎসায় অনেক টাকা লাগে।  ছেলের বাবা চা বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন, তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তার উপর ছেলের চিকিৎসা সব মিলিয়ে আমরা চরম হতাশাগ্রস্ত। 


শরীফের মা রুজিনা আক্তার কাঁদতে কাঁদতে তিনি সমাজের বিত্তবান দানশীল মানুষদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, সবাই সহযোগিতা করলে উন্নত চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে বেঁচে উঠবে শরীফ। আবার লেখাপড়া করতে পারবে।


শরীফের চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবান দানশীল মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন বাবা শহীদুল ইসলাম। বিকাশ নং ০১৯৩৪০৪৮১৭২ দিয়েছেন।