পাটলাই নৌ-রুটে নাব্যতা সংকট কাটাতে খনন করছে বিআইডব্লিউটিএ


Janobani

মো. রুবেল হোসেন

প্রকাশ: ০৮:৪২ অপরাহ্ন, ২৯শে মার্চ ২০২৩


পাটলাই নৌ-রুটে নাব্যতা সংকট কাটাতে খনন করছে বিআইডব্লিউটিএ
ছবি: দৈনিক জনবাণী

নদীগুলো জালের মতো বিছিয়ে আছে বাংলাদেশের শরীরজুড়ে। যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আমাদের নৌপথ। কিন্তু নাব্য সংকট ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন। কমছে নৌপথ, বিঘ্ন ঘটছে নৌযান চলাচলে। শীতকালে নদীর পানি কমে গেলে সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে। শীত মৌসুম আসতে না আসতেই এরই মধ্যে বিভিন্ন নৌরুটে দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট।


সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে এখন মোট নৌপথ প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার। তবে শুষ্ক মৌসুমে তা আরও কমে যায়। সচল রাখা ও বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথ ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংই একমাত্র উপায়। কিন্তু প্রতি বছর চাহিদার অর্ধেক নদীও ড্রেজিং করতে পারে না সরকার।


নদী খননের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, বছরে দেশে ড্রেজিংয়ের চাহিদা পাঁচ কোটি ঘনমিটারের মতো। উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খননের আওতায় বিআইডব্লিউটিএ দুই থেকে আড়াই কোটি ঘনফুট ড্রেজিং করে। কর্মকর্তারা জানান, ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে বাজেট কম। তাই গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চ ও ফেরি রুটগুলো সচল রাখার দিকেই নজর বেশি থাকে বিআইডব্লিউটিএ’র।


সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নৌ রুট খনন করছে বিআইডব্লিউটিএ যার ফলে সুলমানপুর ঘাট ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা রূপ। নদী পাড়ি দিয়ে নৌযানে চলাচল করতে হয় ওই এলাকার  মানুষের।


বিআইডব্লিউটিএ'র ডেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: ছাইদুর রহমান জনবাণীকে বলেন, নাব্য সংকটের কারণে নৌ-চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, তা নয়। সমস্যায় পড়তে হয়। তাহেরপুরসহ সারাদেশের সকল নৌ রুটে নৌযান চলাচল করতে পারে সেই লক্ষ্যেই আমারা কাজ করে যাচ্ছি।


বিআইডব্লিউটিএ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতি বছরই নৌপথ মেনটেইন করতে হয়। সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাহিদাও থাকে। লঞ্চ মালিক, কার্গো ভেসেল ও ট্যাঙ্কার মালিক সমিতির কাছ থেকে শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই একটা চাহিদা নেই বিআইডব্লিউটিএ। বছরের শুরুতেই বিআইডব্লিউটিসির নিকট থেকে জানতে হয় তাদের কোন কোন ফেরি রুটে ড্রেজিং করতে হবে। প্রতি বছর খননের চাহিদা থাকে সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি ঘনমিটার৷ চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।