বিএসএমএমইউ'র ইপনা-তে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ -এর উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫৮ এএম, ৩০শে মার্চ ২০২৩

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা)-তে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) এ উদ্বোধন করা হয়।
ইপনায় আগত শিশুরোগী ও তাদের অভিভাবকগণ যাতে অপেক্ষাকালীন সময়ে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এই বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদেরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, এমপি।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ণ) অধ্যাপক ডা. মো.মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং ইপনা’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিশু অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইপনার ট্রেইনিং কোঅর্ডিনেটর ডা. মাজহারুল মান্নান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইপনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ইতিহাস বিকৃতি এবং বিস্মৃতি ঠেকানোর জন্যই বেশি করে বই পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে, বুঝতে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সংগ্রামকে ছড়িয়ে দিতে এই মুজিব কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে মুজিব কর্নার স্থাপনের জন্য অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি মুজিব কর্নারের লাইব্রেরিতে আরও বই প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন। উ
পাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে শিশুদেরকে জানানো আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে অধ্যাপক ড. শাহীন আখতার শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধু এবং ইতিহাসে তাঁর অধিষ্ঠিত স্থান সম্পর্কে বিবরণ দিয়ে আলোকিত করার কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করে বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নীতি এবং তাঁর সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও আত্মত্যাগ আমাদের যেমন অনুপ্রাণিত করেছিল তেমনি আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ তাঁর শান্তি ও সম্প্রীতির পথ অনুসরণ করতে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হবে’।