মেডিক্যালের অসহায় ছাত্রী ইতির পাশে সাবেরা ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে মার্চ ২০২৩
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হতে যাচ্ছিলো মেডিক্যাল কলেজের সদ্য ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রী জাহানারা বেগম ইতি'র। অর্থের অভাবে তার পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছিলো। স্বপ্নের অপমৃত্যুর ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে দিশেহারা ইতি খোঁজ পান সাবেরা ফাউন্ডেশনের। তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদানসহ চিকিৎসক হওয়া পর্যন্ত ইতির পড়ালেখার সমস্ত ব্যায় ভার গ্রহণ করেছে সাবেরা ফাউন্ডেশন।
এ প্রসঙ্গে জাহানারা বেগম ইতি বলেন, টাকা পয়সার অভাবে আমার মেডিকেলে পড়া নিয়ে সন্দিহান ও দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। এমন সময় আমার পরিচিতজনেরা বললেন, সাবেরা ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করতে। আমি যোগাযোগ করার পরে সাবেরা ফাউন্ডেশন ও এ প্রতিষ্ঠানের শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান মেসবাহ উদ্দিন ( সাবেক সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সাধারণ সম্পাদক অফিসার্স ক্লাব ঢাকা) বিনাস্বার্থে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আমার পড়ালেখার সমস্ত খরচ বহন করার দায়িত্ব নেন।বর্তমানে চলার জন্য নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকাও দেন। আমি এই ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি মেসবাহ উদ্দিন স্যারের জন্য।
দীর্ঘদিন ধরে সাবেরা ফাউন্ডেশনের এমন মহতী কার্যক্রম চলে আসছে। শীতার্তদের শীতবস্ত্র প্রদান, অসহায় ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার ব্যয় ভার, ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া সহ অনেক সামাজিক কাজে যুক্ত এই ফাউন্ডেশন।
এ প্রসঙ্গে সাবেরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেসবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক। মানবিকতার কাজে সম্পৃক্ত থেকে আমরা সমাজের অসহায় দরিদ্রদের পাশে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা মেডিকেল ছাত্রী জাহানারা বেগম ইতি'র পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছি। নয়তো দেশ হারাতো একজন ভবিষ্যতের চিকিৎসককে।
উল্লেখ্য, সাবেরা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে সেবামূলক নানা কার্যক্রমের পাশাপাশি ভোলার চর ফ্যাসানে সাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লিল্লা বডিং ও এতিমখানা পরিচালিত হয়। যেখানে বিনা মূল্যে অনেক অসহায় দারিদ্র্য ছাত্র ছাত্রী পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে।