মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অটোরিকশা চুরি, পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অটোরিকশা চুরি, পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি করে পালানোর সময় এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনার একটি লাইভ ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে জনমনে। তবে ওই ভিডিওতে ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন ভুক্তভোগী যুবককে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলতে শোনা যায়।

আটক পুলিশ সদস্যের নাম জিয়া উদ্দিন পারভেজ (২৩)। তিনি নোয়াখালী পুলিশলাইনসে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। তার ব্যাচ নং-৭৪৩।  তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।

থানাসূত্রে জানা যায়, ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন কনস্টেবল জিয়া উদ্দিন পারভেজ।

রোববার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য জিয়া উদ্দিন পারভেজ পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা ভাড়া নেন।  একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী চরফকিরা ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গিয়ে চালকের চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেন। এর পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধাবাজার এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।

ওই সময় ভুক্তভোগী অটোচালকের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে অটোচোর ওই পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি মরিচের গুঁড়ার পলিথিন উদ্ধার করেন।

পাশে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পের একাধিক সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শুনে পুলিশে খবর দেন।  এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে এক সেট পুলিশের ইউনিফরম পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন আটক ওই কনস্টেবলকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই সময় ওসিও এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন জানান, আটক মো. জিয়া উদ্দিন পারভেজ নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে পুলিশ কনস্টেবল (বিপি-৯৮১৮২২২৬৪৩) পদে কর্মরত। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অন্যলোকের জন্য যে আইনি পদক্ষেপ; তার জন্যও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ওই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ঘটনা ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নবজ্যোতি খীসাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এসএ/