১২ ইউনিট এখনো কাজ করছে: মহাপরিচালক

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবাজারে লাগা আগুন নির্বাপণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে কাজ করছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এনেক্সকো টাওয়ারের চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় যেহেতু গুদাম ঘর, তাই আমরা এখনো সেখানে আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি জানান, গতকাল ও আজ মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০০ সদস্য আগুন নেভানোর কাজ করেছেন। বর্তমানে আমাদের ১২টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে কাজ করে যাচ্ছে।

ডিজি বলেন, আমরা এই ভবনটিকে (এনেক্সকো টাওয়ার) ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলাম। এরপর প্রায় ১০ বার তাদের নোটিশও দিয়েছিলাম, যাতে তারা এখানে ব্যবসা পরিচালনা না করেন। 

তিনি বলেন, আগুন নেভাতে আমাদের পাশের শহীদুল্লাহ হল থেকে পাম্প দিয়ে পানি আনতে হয়েছে। বিমান বাহিনীও হেলিকপ্টারে করে হাতিরঝিল থেকে পানি এনে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেছিল। 

এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই তদন্ত কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। 

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন। আপনারা তাদের আহাজারি দেখেছেন। আমরাও এই ঘটনায় ব্যথিত। আমরা দুর্ঘটনা-দুর্যোগে সবার আগে সবার পাশে থাকি। কোনো দুর্ঘটনা কাম্য নয়।

ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে হামলার দুঃখ প্রকাশ করেন ডিজি মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের প্রায় সবাই ঘটনাস্থলে ছিলেন। তখন সদরদপ্তর অনেকটাই অরক্ষিত ছিল। শুধু কয়েকজন আরপি সদস্য ছিলেন। আমরা কখনো আক্রান্ত হবো ভাবিনি। কিন্তু আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমাদের ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে একটি গাড়ির দামই প্রায় আট কোটি টাকা।