শিশু ক্যান্সার সচেতনতায় প্রচারণা ও র‍্যালি ডব্লিউসিএস বিডির


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শিশু ক্যান্সার সচেতনতায় প্রচারণা ও র‍্যালি ডব্লিউসিএস বিডির

বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস  (১৫ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে র‍্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর পিকআপ ভ্যানে করে রাজধানীতে শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতায় প্রচারণা চালিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউসিএস বিডি জানায়, শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সচেতনতায় সংস্থাটির উদ্যোগে সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় শিশু ও সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ফ্রি হেলথ ক্যাম্পিংসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা (মাস্ক বিতরণ, ব্লাড গ্রুপিং) দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ও ক্যান্সার গবেষক সৈয়দ হুমায়ুন কবির বলেন, বেশির ভাগ শিশুর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। শনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী সেরে ওঠেন। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পান।

তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেনিটিক্যাল কারণ, ভাইরাস, খাবারে টক্সিনের উপস্থিতি, ক্যামিকেলস, পরিবেশগত সমস্যায় শিশুদের ক্যান্সার হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে বেশিরভাগ শিশুরই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশুদের ক্যান্সার মোকাবিলায় সবার আগে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, যেহেতু প্রতিবছরই ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে, তাই শিশুদের সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার যেমন পালং শাক, ব্রুকলি, ডিমের কুসুম, মটরশুটি, কলিজা, মুরগীর মাংস, কচুশাক, কলা, মিষ্টিআলু, কমলা, শালগম, দুধ, বাঁধাকপি, বরবটি, কাঠবাদাম মতো ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।

জানা যায়, শিশু ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সালে চাইল্ড ক্যান্সার ইন্টারন্যাশনাল (সিসিআই) কর্তৃক এ দিবসটি পালন শুরু হয়। সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও এ দিবসটির অন্যতম লক্ষ্য হলো মৃত্যুহার হ্রাস করা এবং ক্যান্সার সম্পর্কিত ব্যথা এবং এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা শিশুদের দুর্দশা হ্রাস করা। এ লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ক্যান্সার নির্ণয় করা শিশুদের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ বেঁচে থাকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

উদ্বোধনী বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবসের এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে স্কাউটসের উপ-কমিশনার নাজমুল হক টিটু প্রমুখ।

জি আই/