ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই এপ্রিল ২০২৩


ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার
পর্যটক বরণের প্রস্তুত কক্সবাজার

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের এখন ভিন্ন রূপ। পবিত্র মাহে রমজানের কারণে কোথাও নেই পর্যটন। পর্যটন শূন্য পরিস্থিতিতে সামনের ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে ব্যবসায়ীরা।


ইতিমধ্যে কক্সবাজার ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের রঙ লাগানো, ধুঁয়ে-মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের ছুটি ৫ দিন হলেও ঈদে টানা ৭ দিন কক্সবাজারে পর্যটন ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।


কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, ঈদের ছুটি ৫ দিন হলেও টানা ৭ দিন কক্সবাজারে পর্যটক আসবেন। অনেক পর্যটক ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এবার প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণের আসবেন। বৈশাখের উত্তাল সাগর এসব পর্যটকদের দেবে ভিন্ন আমেজ। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফেডারেশন ভ‚ক্ত আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসে ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ের। এক্ষেত্রে টানা ৭ দিনের সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন তিনি।


তিনি জানান, কেউ যদি ছাড় না দেন পর্যটকরা যেন তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি ছাড়ের ব্যবস্থা করে দেবেন।


আবাসিক হোটেল সী গালের সহকারি ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ রাব্বী জানান, অন্যান্য আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মতো ঘীরে ঈদে পর্যটক বরণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা। খুব বেশি পর্যটন না আসলেও আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে আসবেন এমনটাই আশা করছেন। এর জন্য আলাদা আলাদ বিশেষ প্যাকেজও রয়েছে।


বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবদুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠবে কক্সবাজার। পর্যটক বরণে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। পর্যটকদের সার্বিক সেবা দেবেন তারা।


হোটেল দি কক্স টু’ডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পর্যটকরা আসলেই স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন হোটেল দেখবে।


কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, ঈদের ছুটির পর্যটকের পদভারে আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সমুদ্র সৈকত সহ পর্যটন এলাকা। এর জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। নিরাপত্তা জোরদার করে পর্যটকের সেবা দিতে প্রস্তুত তারাও।


তিনি জানান, সমুদ্র সৈকত ছাড়াও অন্যান্য পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সৈকতের প্রবেশ পথে তল্লাশী চৌকি স্থাপন, সৈকতে পোষাকধারী পাশাপাশি সাদা পোষাকে দায়িত্ব পালন করবে। সৈকতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য দল গঠণ করা হয়েছে।


আরএক্স/