বইয়ের পাতা উল্টে পড়ায় বেশি আনন্দ: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন ডিজিটাল যুগ। সেটাতে প্রবেশ করতে হবে সত্যি; কিন্তু বইয়ের
পাতা উল্টে পড়ায় বেশি আনন্দ। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু মেলাটা আরও সুন্দর
হোক সেটাই চাই। এবারে মেলার মূল যে প্রতিপাদ্য এটা ভিন্ন মাত্রা দিয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার (১৫
ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী
তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
শেখ হাসিনা
বলেন, ‘বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রাণের মেলা। সেটা না হতে পারলে সবার মন খারাপ হয়। আমাদের
ভাষার অধিকারে বারবার আঘাত এসেছে। আরবি অক্ষরে বাংলা ভাষা, রোমান হরফে বাংলা লেখার
বিষয়টি এলো। বারবারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। একটি জাতি সবসময় উন্নতি করতে পারে ভাষা সংস্কৃতির
উন্নতি হলে। প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে সংস্কৃতিসেবীদের ভূমিকা রয়েছে।’
তিনি বলেন,
‘স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল।
ভাষা আন্দোলনে তার অবদানকেও মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই ও তার বিরুদ্ধে
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা যে রিপোর্ট দিত সেগুলোতে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা
বলেন, ‘ভাষার জন্য রক্তদানের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন
বঙ্গবন্ধু। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি, মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগটিও পেয়েছি। এটা ধরে
রাখতে হবে। অনেক আঘাত ও বাধা এসেছে। সব অতিক্রম করে বাংরাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতির জনক বলতেন, জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার অর্জনের
জন্যই ছিল আমাদের সংগ্রাম।’
এসময় মেলা মাসব্যাপী হতে পারে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এবার তো আমরা মেলা দেরিতে শুরু করেছি। আমার মনে হয়, এটা পুরো মাসই চালাতে পারি। যেহেতু প্রকাশকদের কাছ থেকে দাবি এসেছে, জাতির পিতার জন্মতারিখ ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা চালানোর। আমার মত, এটা আমরা মার্চ মাস পর্যন্ত চালাতে পারি। বাকিটা আপনাদের সিদ্ধান্ত।
মেলায় যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগে মেলায় যেতাম। এখন তো আর পারি না। যখনই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছি। তখনই পায়ে শিকল পড়লো। নিরাপত্তার অজুহাতে আর যাওয়া হয় না। বিরোধী দলে থাকতেও যেতাম।
বাংলা একাডেমির
সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা রাখেন সংস্কৃতি
সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল
হুদা।
ওআ/