ঈদের আগে আবারও বাড়ল মাছ-মাংস-সবজির দাম
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, ২০শে এপ্রিল ২০২৩
রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ছিল অসন্তোষ। এর মধ্যে অনেকবারই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মাছ-মাংস-সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। পুরো রমজান জুড়েই সাধারণ ক্রেতাদের দিশেহারা অবস্থা ছিল। ঈদের আগে আবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেখা গেছে, মাছ, মুরগি, ডিম, সবজি, মসলাসহ প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতাদের কেউ সরবরাহের ঘাটতির কথা বলছেন, তো কেউ তীব্র গরমের কথা বলছেন।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৬০-৬৫ টাকা, কাকরোল ১শ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, সজনে ডাটা ৯০-১শ টাকা, গাজর ৮০-১৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, শসা ৯০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে তীব্র গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে লেবুর। তাই পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। এখন প্রতি হালি কলম্বো লেবু ১০০-১২০ টাকা, এলাচি লেবু ৪০-৬০ টাকা, কাগজি লেবু ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুধু শাক-সবজি নয়, দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলুর। দুই সপ্তাহ আগে ১০০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হওয়া আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ৩০-৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকা, ৯০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হওয়া চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ২০০ টাকা বিক্রি হওয়া দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, ১৪০ টাকার মিয়ানমারের আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, ২শ টাকার চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা।
ঈদের সময় মসলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এর দাম বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও ২ হাজার ২শ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এলাচ এখন ২ হাজার ৫শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৩৮০ টাকার দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, ৩০০ টাকার শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, ৬০০ টাকার জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭শ টাকা, ২শ টাকার ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি কালোজিরা বক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৬শ টাকা, গোল মরিচ ৯০ টাকা, জয়ফল ১ হাজার ১শ টাকা, জয়িত্রী ৩ হাজার ৬শ টাকা, মৌরি ৩২০ টাকা, সরিষা ১৬০ টাকা ও তেজপাতা ৯০ টাকা।
এদিকে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দুই দিন আগেও ২শ টাকা কেজি বিক্রি করা ব্রয়লার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। এছাড়া ৩৫০ টাকার সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, ৩২০ টাকার সাদা কক বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। তবে লাল লেয়ার মুরগি আগের মতোই ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অপরিবর্তিত আছে চালের বাজার। এখন প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭২ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা, স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা। ঈদের পর আটাশ ও মিনিকেটের দাম কমবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
আগের মতোই আছে গরু ৭৫০ টাকা কেজি ও খাসি ১ হাজার ১শ টাকা কেজি। ছাগলের দাম ১শ টাকা বেড়ে এখন এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরু ও খাসির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মাছের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মাছের দাম ২০-৩০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।