ঈদে জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই: র‌্যাব ডিজি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:০৫ অপরাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৩


ঈদে জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই: র‌্যাব ডিজি
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। ছবি: জনবাণী

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, গোয়েন্দা ও সাইবার মনিটরিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ব্যাপারে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি র‌্যাব।


শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিফ্রিংকালে তিনি এ কথা বলেন।


র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষ্যে এই মুহূর্তে মার্কেট, বিপণী বিতানগুলোতে প্রচুর বেচা-কেনা, আর্থিক লেনদেন ও জনসমাগম হচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভেজাল খাদ্য বিক্রির বিষয়টিও আমরা মাথায় রেখেছি। ঘরমুখো মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য আমরা ব্যাটালিয়নগুলোতে সাপোর্ট সেন্টার চালু করেছি।


‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশব্যাপী র‌্যাবের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় র‌্যাব সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সড়ক ও নৌ পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, হয়রানি বন্ধ, চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারীসহ মলমপার্টি ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।


তিনি বলেন, সড়ক ও নৌ পথে চালকেরা যেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাস ও লঞ্চ চালনা না করে সেজন্য মালিক ও চালকদের সতর্কীকরণ ও সচেতন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যেন চলাচল না করতে পারে সেজন্য চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে (জাতীয় ঈদগাহ, শোলাকিয়া ঈদগাহ ও দিনাজপুর বড় ঈদগাহ) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ শপিং মল, বিপণী বিতান ও জন সমাগমপূর্ণ এলাকায় স্ট্যাটিক টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে; যাতে করে সাধারণ জনগণ উৎসব মুখর পরিবেশে এবং নিরাপদে কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিংমলসহ অন্যান্য স্থানে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে র‌্যাবের নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।