যেভাবে বাতিল করা যাবে টিআইএন সার্টিফিকেট


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ২৬শে আগস্ট ২০২৫


যেভাবে বাতিল করা যাবে টিআইএন সার্টিফিকেট
ছবি: সংগৃহীত

নতুন আয়কর আইনে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বা টিন সার্টিফিকেট নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বাতিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আগে এ ধরনের সুযোগ না থাকায় অনেক করদাতা অপ্রয়োজনীয়ভাবে টিন বহন করে বিপাকে পড়তেন। এবার করদাতারা প্রয়োজন অনুযায়ী আবেদন করে টিআইএন বাতিল করতে পারবেন।


কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিআইএন বাতিলের জন্য যথাযথ কারণ দেখাতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে যদি কোনো বকেয়া কর না থাকে, তবে টিন বাতিল করা হবে।


আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক ক্রয়ের সময়সীমা কমানোর প্রস্তাবে অনুমোদন


যেসব শর্তে টিআইএন বাতিল করা যাবে- ১. করদাতার রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা না থাকলে, ২. মৃত্যু, অবসায়ন বা অবলুপ্তির কারণে অস্তিত্বহীন হলে, ৩. স্থায়ীভাবে বিদেশে চলে গিয়ে দেশে আর কোনো আয় না থাকলে, ৪. ভুল বা ডুপ্লিকেট নিবন্ধন হলে, ৫. আইনি মর্যাদা পরিবর্তন হলে এবং ৬. অন্য কোনো আইনসঙ্গত কারণে টিআইএন বাতিলের প্রয়োজন হলে।


যারা বাতিলের আবেদন করতে পারবেন- যাদের আয় করযোগ্য সীমার নিচে, প্রবাসী যাদের দেশে আয় নেই, মৃত করদাতার ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীরা (ব্যবসা সংক্রান্ত জটিলতা না থাকলে) এবং যাদের টিআইএন ভুল বা ডুপ্লিকেটভাবে হয়েছে।


আরও পড়ুন: ২০০১ সালের আসন ফেরতের দাবি জানিয়েছে কয়েক জেলার বাসিন্দারা


যে কাগজপত্র লাগবে- বর্তমান টিন সার্টিফিকেটের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও কপি এবং টানা তিন বছরের শূন্য রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র।


যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে- করদাতাকে টানা তিন বছর শূন্য রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তৃতীয় বছরে রিটার্ন দাখিলের সময় কর সার্কেলের উপ-কর কমিশনারের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। সেখানে বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করে প্রমাণপত্রসহ আবেদন জমা দিলে তা যাচাইয়ের পর চূড়ান্তভাবে টিআইএন বাতিল করা হবে।


আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ পরিবারের অনুদান ও ভাতা বণ্টনে সরকারের নতুন নীতিমালা


টিআইএন বাতিলের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো খরচ নির্ধারিত নেই। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বিনামূল্যে সম্পন্ন করা যাবে। অর্থাৎ, যেমনভাবে প্রয়োজনে টিন সার্টিফিকেট করা যায়, তেমনি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এটি বাতিলও করা সম্ভব।


এএস