ঈদের পরে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, ২৮শে এপ্রিল ২০২৩


ঈদের পরে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম
ফাইল ছবি

পুরো রোজার মাস জুড়ে নিত্যপণ্যের দাম ছিলো চড়া। ঈদের আগে বেড়েছিলো সবজি মাছসহ সবধরনের মাংসের দাম। এদিকে ঈদের পরও রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে আলু পেঁয়াজ-রসুন-আদার দাম। উৎপাদন কমের অজুহাতে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।


বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বেশকয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।


বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে বর্তমানে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। ঈদের একদিন আগেও যা বিক্রি হয় ১৪০ টাকায় এবং এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়।


এদিকে ঈদের আগে মানভেদে ৩৬-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৬ টাকায়। এক মাস আগে যা বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৪ টাকা দরে।


ঈদের আগে ১০০ টাকা ও এক মাস আগে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া দেশি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।  


অন্যদিকে, ঈদের আগে ১৪০ টাকা ও এক মাস আগে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া চায়না রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।


এছাড়া ঈদের আগে ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। আর ২৮০ টাকার চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি দরে।


রোজায় কিছুটা কম থাকার পর আবার বেড়েছে মুরগির দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। রমজানে এই মুরগির দাম ২০০ টাকায় নেমে এসেছিল। 


মুরগির দাম বাড়লেও আগের মতোই আছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি হালি লাল ডিম ৪৩ টাকা, সাদা ডিম ৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শসা ৯০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, উস্তা ৫০ টাকা, কাকরোল ৮০-৯০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০-১১০ টাকা, ধুন্দুল ৯০ টাকা, লতি ৫০ টাকা।  


এদিকে, আগের মতোই ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস, ১১০০ টাকায় খাসি ও ১০০০ টাকায় ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে।