যারা সমালোচনা করে তারাই অসুন্দর গান শোনেন: প্লাবন কোরেশী


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা মে ২০২৩


যারা সমালোচনা করে তারাই অসুন্দর গান শোনেন: প্লাবন কোরেশী
প্লাবন কোরেশী

যারা সারাদিন গানের সমালোচনা করে এবং বলতে থাকে বাংলাদেশে বর্তমানে ভালো গান হয় না, দিনশেষে তারাই রাতে বাসায় ফিরে অসুন্দর গানই শোনেন বলে দাবি করেছেন দেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী প্লাবন কোরেশী।


তিনি বলেন, আমারা ভালো কথা ও সুরের গানগুলো লিখি তখন সেই গানগুলো সুপার ফ্লপ হয়। অথচ সেসকল গান নিয়ে আমরা আশাবাদী না সেই গানগুলো হিট হচ্ছে। বর্তমানে মানুষের রুচির পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রডাকশন হাউজের চাহিদা অনুযায়ী গান লিখতে হয়। তাই ভালো গান বর্তমানে মানুষ ভালো ভাবে নেয় না। দৈনিক জনবাণীর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে  তিনি এসব কথা বলেন। 


প্লাবন কোরেশী বলেন, মানুষ তখনই জনপ্রিয়তা লাভ করে যখন তার সুনাম ছড়ায়। যখন আমার লেখা গান ও আমার করা সুর যে কোনো শিল্পীর গাওয়া গানে বাজতে থাকে এবং যখন মানুষের কাছে পৌঁছায় জনপ্রিয়তা পায়, মানুষের মুখে মুখে শুনতে পায় তখন অন্য রকম এক ভালোলাগা কাজ করে, নিজেকে ধন্য মনে হয়।


একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং কণ্ঠশিল্পী প্লাবন কোরেশী। গান লিখছেন প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। তবে সব পরিচয় ছাপিয়ে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ চলচ্চিত্রে ‘বাড়ির ওই পূর্ব ধারে’ শিরোনামের গানের জন্য এই স্বীকৃতি পান তিনি।


শুনতে পাওয়া যায় একসময় বাংলাদেশ বেতারে ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) গীতিকার ও সুরকার হিসাবে যোগদানের জন্য পরিক্ষা দিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে উত্তরে প্লাবন কোরেশী বলেন, আমি বাংলাদেশ বেতারে ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) পরিক্ষা দিয়েছিলাম এবং সম্মানের সাথে ফেল করেছিলাম। তখন বিজ্ঞ বিচরকদের কাছে মনে হয়েছিলো আমি  এই কাজের জন্য যোগ্য না, ভালো কিছু করতে পারবো না। সেই বিচারকদের অনেকেই বর্তমান আমার সহকর্মী। হতে পারে ওটা আমার জীবনের অনুপ্রেরণা। 


প্লাবন কোরেশী লেখা ও সুরে জনপ্রিয় হয়েছে অসংখ্য গান। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে মনির খানের ‘অঞ্জনা’ ফজলুর রহমান বাবুর ‘ইন্দুবালা’, দিলরুবা খানের ‘তোমার আমার’,  রিংকুর ‘বিবাগী’, রবি চৌধুরীর ‘রঙের বন্ধু’, ধ্রুব গুহের ‘একলা পাখি’ ও ‘যে পাখি ঘর বোঝে না’ অন্যতম। 


নিজের গান যখন রাস্তাঘাটে দোকানপাটে শুনতে পান তার অনুভূতির কথা প্রকাশ করে বলেন,  বড় আনান্দের ব্যপার হলো যখন আমার পাশে দোকান থেকে কোনো ব্যাক্তি বলে গানটি অনেক ভালো হয়েছে তখনি মনে হয় যেনো সৃষ্টি সার্থক হয়েছে।