রিজার্ভ নেমে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, ৯ই মে ২০২৩
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এখন ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে মার্চ-এপ্রিল মাসের দায় হিসাবে ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ নিষ্পত্তির পর রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯৮০ কোটি ডলারে।
আগের দিন রবিবার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৯৮ কোটি ডলার। আকুর বিল পরিশোধের পর সাত বছর পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে।
এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরখানেক ধরে রিজার্ভ কমার ধারায় রয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল শেষে রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য এর বড় অংশই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করার কারণে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩ মে পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। মূলত সরকারি কেনাকাটা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি দায় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।
যদিও আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে।
আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী, রিজার্ভের অর্থে বিদেশে বিভিন্ন বন্ড, মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন; বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ কেনা বাবদ সোনালী ব্যাংককে ধার; পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে অর্থ দেওয়া এবং শ্রীলঙ্কাকে অর্থ ধার দেওয়া বাবদ মোট ৮২০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ সব সময়ই বলে আসছে, এগুলো বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব রাখতে হবে।