বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোটের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোট কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বিক্রয় পেশাজীবিদের চাকুরিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ণের ও বিক্রয় পেশাজীবিরা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে তা নির্ধারণের দাবিতে মূলত গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গণসমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিক্রয় পেশাজীবি নেতা বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা মো. আরিফুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিক্রয় প্রতিনিধি জোটের সভাপতি কামাল হোসেন ইতি, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মফিদুল ইসলাম। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

প্রধান অতিথি মো. আরিফুর রহমান বলেন, সারা দেশের সকলের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয় বিক্রয় প্রতিনিধিরা। বিক্রয় প্রতিনিধিরা খাবার পৌঁছালেই সবাই খেতে পারে। বিক্রয় প্রতিনিধিরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে, কোন দিন দুপুরে খেতে পারে কোন দিন পারেনা। কারণ বিক্রয় প্রতিনিধিদের বেতন সামান্য। বিক্রয় প্রতিনিধিদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। মে দিবসের ছুটি নেই ১৬ ই ডিসেম্বর ছুটি নেই, কোন সময়ই ছুটি নেই, বিক্রয় প্রতিনিধিদের চাকুরির নেই কোন নীতিমালা। 

তিনি আরও বলেন, বিক্রয় প্রতিনিধিরা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে তাও কেউ জানেনা। এখন পর্যন্ত কোন সাংবাদিক, নেতা মন্ত্রী কেউ বিক্রয় প্রতিনিধিদের নিয়ে কথা বলেনি। আমি আরও বলতে চাই আমার বিক্রয় প্রতিনিধি ভাইকে বাঁচাতে হবে তাদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। তারা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে তা নির্ধারণ করতে হবে। বিক্রয় পেশাজীবিদের চাকুরিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যদি না করা হয় তাহলে আমার বিক্রয় প্রতিনিধিরা আপনাদের মাঝে খাবার পৌঁছানো বন্ধ করে দিবে। 

কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. কামাল হোসেন ইতি বলেন, যেহেতু রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি অধিকার বাস্তবায়ন না করে রাজপথ ছাড়বোনা। 

তিনি আরও বলেন, বিক্রয় পেশাজীবিদের দিকে সরকারের সুদৃষ্টি নেই, সরকার চাইলেই বিক্রয় প্রতিনিধিরা ভালো থাকতে পারবেন।