এডভেঞ্চার প্রেমীদের আদর্শ স্হান হতে পারে চট্টগ্রামের সোনাইছড়ি ট্রেইল


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১৯ অপরাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৩


এডভেঞ্চার প্রেমীদের আদর্শ স্হান হতে পারে চট্টগ্রামের সোনাইছড়ি ট্রেইল
সোনাইছড়ি ট্রেইলে কয়েকজন পর্যটক

দুর্গম পাহাড়-পর্বতের পথ পেরিয়ে গহীনের সৌন্দর্য আস্বাদনই চরম জয়ের অনুভূতি। অসংখ্য সৌন্দর্যের এক উপাখ্যান চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলা। 


সৌন্দর্যে মোড়ানো এই উপজেলায় প্রকৃতির সবকিছুই আছে। আর  যত পাহাড়ি ট্রেইল আছে তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম, রহস্যময় এবং সুন্দর ট্রেইল হলো সোনাইছড়ি ট্রেইল। 


সীতাকুণ্ডের মীরসরাই পাহাড় রেঞ্জের হাদি ফকিরহাট বাজার এলাকায় অবস্থিত বন্য পাথুরে সোনাইছড়ি ট্রেইল বারৈয়াঢালা অভয়ারণ্যের আওতাভুক্ত। ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেইলটি মীরসরাইয়ের অন্যান্য ট্রেইলগুলো থেকে একদম আলাদা এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের সাপ বিচ্ছু জ্বিন ভূত এবং জোঁকের ভয় আছে তাদের যাওয়া একদম ঠিক হবেনা, কারণ এই ট্রেইলে অনেকেই নাকি জিন ভূতের অস্তিত্ব পেয়েছে, আর সাপ ভাদুর খেতে পছন্দ করে তাই সাপ আছে প্রচুর পরিমানে।


এই ট্রেইলের বাদুইজ্জাখুম বা বাঁদুরে কুম এক সংকীর্ণ অথচ বিস্তৃত গভীর কুম, যার দুপাশের পাথরের দেয়াল খাড়া ১০০-১৫০ ফুট উচু। উপরের গাছপালা ভেদ করে আলো তেমন আসেনা, ভেতরের হাজার হাজার বাঁদুরের ডানা ঝাপ্টানো আর কিচকিচ চিৎকারে কান পাতা কঠিন, আর ভিতরে বাজে গন্ধ সৃষ্টি করে রেখেছে ভয়াবহ এক ভুতুরে আবহ।  


এই ট্রেইল এতটাই দুর্গম যে ভরা বর্ষায় এটাতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেবলমাত্র শীতকালেই এটাতে যাওয়া সম্ভব হয়, তাও কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়। খাড়া সব গিরিখাত, গভীর সব কুম আর পিচ্ছিল রাস্তা, বিশাল আকারের সব পাথর, বাদুরের উৎপাত, জোঁকের ভয়, সব মিলিয়ে এটা যে একটা বেশ কষ্টকর আর এডভেঞ্চারাস জায়গা, তাতে কোন সন্দেহ নেই।


ট্রেইলের প্রায় শেষের দিকে আছে সোনাইছড়ি ঝর্ণা, বিচিত্রসব ক্যাসকেড, আছে বাদুর-কুম বা বাদুইজ্যাকুম। প্রচুর পরিমাণে বাদুরের কারণে এরকম নাম। অত্যন্ত গভীর এই কুমে পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতের মাছ। স্থানীয়রা সেসব শিকার করেন বিভিন্ন সময়।


আরএক্স/