টেকনাফে অপহরণকারীদের আস্তানায় অভিযান, ৩ মরদেহ উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৩
কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে অপহরণকারীদের আস্তানায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন।
বুধবার (২৪ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টা শুরু হওয়া এ অভিযান এখনও চলছে। পাহাড়ে এই আস্তানা থেকে এ পর্যন্ত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধারে সহযোগিতা করছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড়ে অপহরণকারীর আস্তানায় র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানস্থল গহীন পাহাড়ে হওয়ায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে এ পর্যন্ত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের পরিচয় তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
কিন্তু মরদেহ ৩ টি টেকনাফ গিয়ে গত ২৮ এপ্রিল অপহৃত ৩ যুবকের বলে দাবি করছেন স্বজনরা। স্বজনদের দাবি সঠিক হলে মরদেহ ৩ টি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরানের। এরা তিনজনই বন্ধু।
অপহৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ২৮ এপ্রিল টেকনাফে গেলে তাদের সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ি থামিয়ে একদল অপহরণকারী পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় তাদের উদ্ধার এবং জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘আটক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে টেকনাফের গভীর জঙ্গলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অভিযান শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
এদিকে, ঘটনার বিস্তারিত বিষয় নিয়ে অভিযান শেষ হওয়ার পর প্রেসব্রিফিং করার কথা রয়েছে। এ নিয়ে গত ৮ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ৬৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
জেবি/ আরএইচ/ এসবি