বৃহঃস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিয়ানমার প্রতিনিধিদের


জেলা প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ০৬:৩৬ পিএম, ২৫শে মে ২০২৩

মিয়ানমার প্রতিনিধি

প্রত্যাবাসনের উদ্যোগে ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের সকল সমস্যা সমাধানে আশ্বাস প্রদান করেছেন সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।  


বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়ারস্থল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপকালে এমন আশ্বাস প্রদান করেছেন।


বৃহস্পতিবার বিকালে একই জেটি দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত গেছেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ এর নেতৃত্বে আসা ১৪ প্রতিনিধি।


আরে পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল


এরপর বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম থেকে উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসন। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান কেবল প্রত্যাবাসন। তাই শুরু থেকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে সাথে নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে মিয়ানমারের ১৪ প্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের গৃহিত উদ্যোগ, পদক্ষেপ অবহিত করেছেন। রোহিঙ্গারা তাদের নানা প্রশ্নে করেছেন। প্রতিনিধিরা এর উত্তর দিয়েছেন।


তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপকালে মিয়ানমারের মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ আশ্বাস্ত করেছেন রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করার।


কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়া বিকল্প কোন পথ বাংলাদেশের নেই। এই প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে অচলাবস্থা থাকলেও তা কেটে গেছে। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর, রোহিঙ্গাদের সাথে আলোচনা, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে প্রতিনিধিদের পরিদর্শন হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার ফলোআপ হিসেবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি এসেছেন। তারা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নির্বাচিত ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৮০ জন পরিবার প্রধান নারী-পুরুষের সাথে আলাপ করেছে। আলোচনায় রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের উদ্যোগ যেমন অবহিত করা হয়েছে, একইভাবে রোহিঙ্গারাও তাদের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে প্রত্যাবাসনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৯টার পর টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়ারস্থল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কার্গো ট্রলারে মিয়ানমারের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে আসে। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজা সহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। টেকনাফ পৌঁছার পর প্রতিনিধিদলটি টেকনাফের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমার ফেরত গেছেন। এদিকে গত ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। এর আগে ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৪৮০ জন রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় প্রতিনিধি দলটি।


প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের রাখাইনে ফেরত নিতে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষর করলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি। এই কমিটি দুটি সভা করলেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমার ফেরত যাননি।


আরএক্স/

দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি চালু


উপজেলা প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম,১লা জুন ২০২৩

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি চালু

দীর্ঘ একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে সিজার ও সাধারণ অপারেশন কার্যক্রম। 


বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন। 


উদ্বোধনের সাথে সাথেই সিজার করা হয় বৈবাহিক জীবনের ১৯বছরের মাথায় সর্বপ্রথম মা হতে যাওয়া প্রসুতি ময়না বেগমের (৩৫)। সিজারে ময়না পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। এদিন আরো এক প্রসুতির সিজার করা হয়। হাসপাতালে গর্ভবতী প্রসুতিদের সিজারের দায়িত্বে রয়েছেন সার্জন ডা. সিরাজুল মুনিরা, ডা. নাইমা হাসান ও এ্যানেসথেসিয়া ডা. মেহেদী হাসান। 


বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ অপারেশন কার্যক্রম আপতত হবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার। গর্ভবতীদের সিজারের পাশাপাশি অপারেশন হবে এ্যাপেনডিকস, হার্নিয়া ও হাইড্রোসিলের। এর আগে অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে দীর্ঘকাল ধরেই এ সরকারী হাসপাতালের সিজারসহ সকল অপারেশন কার্যক্রমই বন্ধ ছিলো। 


বর্তমানে দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীনের উদ্যোগে একযুগ পর অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়েছে। তাই এখন থেকে নামমাত্র সরকারী স্বল্প খরচে সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন সেবা নিতে পারবেন হাসপাতালে আগত রোগীরা। এ হাসপাতালে প্রথম রোগীর সিজার করা চিকিৎসক সার্জন ডাঃ সিরাজুল মুনিরা বলেন, দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চালু হওয়া ওটিতে প্রথম যার সিজার করেছি তিনি ১৯বছর পর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পেরেছেন। এটাই আমাদের কাছে ভীষণ আন্দন্দের। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেন রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যেতে পারি সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাইছি। 


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পরে হলেও আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটিটি চালু করতে পেরেছি।


এটি মোংলাবাসীর জন্য আন্দন্দের খবর। এখন থেকে প্রতি সোমবার সিজারসহ সাধারণ অপারেশন চালু থাকবে। আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালের সকলকে বিশেষ করে চিকিৎসক, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও রোগীদের। সকলের সহযোগীতা পেলে আমাদের এ অপারেশন কার্যক্রম ভবিষ্যৎতেও চালু রাখতো পারবো। 


বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম যার সিজার হয়েছে তিনি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন। মা ও সন্তান দুইজনই সুস্থ্য রয়েছেন। দুপুরে আরো একটি সিজার রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ওটি চালুর পর হাসপাতালের প্রথম সিজারই সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 


আরএক্স/

ভোলায় আরও দুই গ্যাস ক্ষেত্র যুক্ত হতে যাচ্ছে!


জেলা প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম,১লা জুন ২০২৩

গ্যাস ক্ষেত্র

বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলা। ভোলার চারদিকে যেমন ছেয়ে আছে নদী আর নদী। চারদিকে নদী বেষ্টিত এ জেলাটির নাম ভোলা হলেও জেলাটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ও বটে। দ্বীপের রাণী ভোলার চারপাশ নদী বেষ্টিত হলেও এ ভোলা যেন এখন গ্যাসের ছড়াছড়ি। একের পর এক গ্যাসের নতুন- নতুন কূপের সন্ধান পেয়ে দিন দিন ভোলা যেন হতে চলেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মত শিল্প এলাকা। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রূপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলা শিল্প ও বাণিজ্য নগরী হিসেবে।


শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ার পর একের পর এক এর সংখ্যা বাড়ছে দ্বীপজেলা ভোলায়। গত ২৮ বছরের মধ্যে জেলায় এখন পর্যন্ত আলাদা ৩টি (শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা-১ নামে) গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে, যা থেকে ৯টি কূপ খনন হয়েছে।


এসব ক্ষেত্রে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ টিসিএফ। এ মজুদ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।


এ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ভূ-তাত্ত্বিক জরিপে দ্বীপজেলা ভোলায় আরও দুটি নতুন স্পটে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ওই সব ¯পটে আরও অনুসন্ধান করা হবে এবং শিগগিরই কূপ খনন করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। তবে নতুন স্পটগুলোতে গ্যাসের বিস্তৃত অনেক বেশি থাকায় সেগুলো কূপ নয় বরং আলাদা গ্যাস ক্ষেত্র হতে পারে।


বাপেক্সের সম্ভাব্য ধারণা, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানগঞ্জ বাজারের আশপাশে এ গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে। তবে কূপ খনন না করা পর্যন্ত এখনই নিশ্চিত করে বলতে চাচ্ছে না বাপেক্স। কবে নাগাদ এমন ঘোষণা বা কূপ খননের সিদ্ধান্ত আসবে তাও নিশ্চিত করেনি বাপেক্সের নির্ভরযোগ্য সেই সূত্রটি।


তবে তাদের তথ্য সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কূপ খননের পরই এমন সিদ্ধান্ত আসবে। সেক্ষেত্রে দেশের ৩০ এবং ৩১তম গ্যাসক্ষেত্রও হতে পারে দ্বীপজেলা ভোলাতেই।


বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ইলিশা-১, ভোলা নর্থ এবং শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে আপাতত নতুন আরও ৫টি কূপ খননের অনুমোদন হয়ে গেছে। সেগুলো শিগগিরই খনন করবে বাপেক্স। এরপরেই নতুন যেসব পয়েন্টে গ্যাসের অনুসন্ধান মিলেছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করা হবে।


তিনি আরও বলেন, নতুন আরও দুটি গ্যাসক্ষেত্র এই ভোলাতেই হতে পারে। যেটি এখনও চূড়ান্ত জরিপ ও বিশ্লেষণের অপেক্ষায়। আমাদের স্থান নির্ধারণ হয়ে গেছে।


জানা গেছে, ১৯৯৪-৯৫ সালে শাহবাজপুরে, ২০১৮ সালে ভোলা নর্থ এবং ২০২৩ সালে ইলিশা- ১ গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়।


প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসেই যেন ভাসছে ভোলা। তবে সে তুলনায় উল্লেখযোগ্য গ্যাসভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হয়নি ভোলায়। বাসা বাড়িতেই গ্যাসের সংযোগ পায়নি ভোলার বেশিরভাগ মানুষ।


ভোলাবাসীর স্বপ্ন গ্যাসভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে বেকার যুবকদের। কিন্তু এসবের কিছুই বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভোলার মানুষ। এরই মধ্য পৌরবাসীকে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভোলা পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি দাবি তুলেছেন, ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার।


এদিকে বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আলী সম্প্রতি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলায় বিপুল পরিমাণ খনিজ স¤পদ রয়েছে। আর তাই এ জেলাসহ ১২ জেলায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। সেটি এখন অপেক্ষা, তাদের আশা নতুন করে সন্ধান মিলবে গ্যাসের।


এদিকে বাপেক্সের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ভোলার ৯টি কূপের মধ্য এখন পর্যন্ত ৫টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, যা ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ হচ্ছে। বাকি ৪ কূপ অব্যবহৃত রয়েছে। এ মুহূর্তে গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা ১০০ থেকে ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট।



আরএক্স/

ফেনীতে ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিমূলক সভা


জেলা প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ১২:০০ পিএম,১লা জুন ২০২৩

ছবি: জনবাণী

ফেনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


বুধবার (৩১ মে) সকালে ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানের সভাপতিত্ব তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে ১৪তম রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন


সভা থেকে জানানো হয়, খেলা আগামী ১২ জুন শুরু হয়ে ২২ জুন শেষ হবে।


জেবি/ আরএইচ

শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ পিস সোনার বার উদ্ধার


উপজেলা প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম,১লা জুন ২০২৩

সোনার বার

ভারতে পাচারকালে যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভূলাট সীমান্ত থেকে এক কেজি ৬৩১ গ্রাম ওজনের ১৪ পিস সোনারবার উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় পাচারকারীকে আটক করতে পারিনি বিজিবি সদস্যরা ।


বুধবার (৩১ মে) রাত ১১ টার দিকে বিজিবির একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে সোনার চালানটি আটক করে। 


বিজিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, শার্শা সীমান্ত দিয়ে সোনার একটি চালান ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি'র খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল সীমান্তবর্তী পাঁচভূলাট গ্রামস্থ সাহেবের আমবাগানে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর বিজিবি টহলদল একজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে আসতে দেখে এবং সে টহলদলের নিকটবর্তী আসলে তাকে থামতে বলে। উক্ত ব্যক্তি না থেমে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাকে ধাওয়া করলে তার সাথে থাকা মোড়ানো একটি গামছা শূন্য লাইন হতে ২০ গজ উপরে ইছামতি নদীর তীরে ফেলে নদী সাঁতরে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল গামছাটি তল্লাশি করে এক কেজি ৬৩১ গ্রাম ওজনের ১৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করে। উক্ত সোনার বারগুলো গামছার ভিতরে কস্টেপ দ্বারা পেচানো অবস্থায় অভিনব কায়দায় লুকায়িত ছিল। যার  সিজার মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। 


এ ব্যাপারে খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট. কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি জানান, শার্শার পাঁচ ভূলাট সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পাচারের সময় একটি সোনার চালান মালিকবিহীন উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার চালানটি ট্রেজারিতে জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।


আরএক্স/ 


সিআইপি নির্বাচিত হলেন ফেনীর শিল্পপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম


জেলা প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ১১:৩৮ এএম,১লা জুন ২০২৩

নুরুন নেওয়াজ সেলিম

ফেনীর কৃতি সন্তান, এফবিসিসিআই এর পরিচালক ইলেক্ট্রো মার্ট এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড এর  সাবেক চেয়ারম্যান, মৌলভী শামসুল করিম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা, দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও দানবীর নুরুন নেওয়াজ সেলিম বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও পড়ুন: ফেনীতে বিএনপির বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত


তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামসহ ফেনী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন কালিন অসহায় পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তিনি সকালের দোয়া ও ভালো বাসা নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চান।

জেবি/ আরএইচ/