বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে ধাবিত করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ভাষা ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। হঠাৎ ঘোষণায় স্বাধীনতা আসে না, স্বাধীনতা আসে সংগ্রামের পথ পেয়ে। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধাবিত করেছিলেন।’
রবিবার
(২০ ফেব্রুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে একুশে পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে সংযুক্ত
হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘ভাষা শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো বিকশিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি
বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে ইতিহাস বিকৃত হয়েছিল। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর
যে অবদান, তা মুছে ফেলা হয়েছিল। আসলে সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না, ইতিহাস ঠিকই ফিরে
আসে। আজকে আমাদের সেইদিন।’
শেখ
হাসিনা বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখে যাচ্ছেন, সকলকে আমরা সম্মাননা
দিতে পারি না। তবুও আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে যারা এক সময় অবদান রেখেছেন, যাদের মধ্যে
অনেকেই হয়তো হারিয়েও যাচ্ছিলেন; আমরা তাদেরও খুঁজে বের করে সম্মান জানানোর চেষ্টা করে
যাচ্ছি। যাতে করে ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে মানুষ মুক্তি পায়।’
ভাষা
আন্দোলনের বিশেষ অবদানে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন মোস্তফা এম এ মতিন, মির্জা তোফাজ্জল
হোসেন। এছাড়াও মরণোত্তর পদক পেলেন অভিনেতা খালেদ মাহমুদ খান। শিল্পকলার নৃত্যে পান
জিনাত বরকতউল্লাহ সংগীতে মরণোত্তর নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান
বেণু, অভিনয়ে আফজাল হোসেন, মাসুম আজিজ।
মুক্তিযুদ্ধে
বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মতিউর
রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী পান মরণোত্তর পদক। কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।
সাংবাদিকতায়
এবার একুশে পদক পান এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সমাজ
সেবায় একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের। শিক্ষায়
একুশে পদক পান অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। ভাষা সাহিত্যে একুশে পদক পান কবি কামাল চৌধুরী
এবং ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্ত। গবেষণায় বিশেষ অবদানে একুশে পদক পান ড. মো আবদুস সাত্তার
মন্ডল, দলগত পদক পান ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস।
নীতিমালা
অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক,
রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে
পদক সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের
বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ,
দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য
অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া শুরু হয়।
ওআ/