পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় ঘুরতে গিয়ে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নূরুল হক নাফিউর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে লৌহজংয়ের তেউটিয়া ইউনিয়নের বর্ণপাড়া গ্রামের পাশে নদীতে ভেসে উঠে নাফিউর এর মরদেহ। নিখোঁজ নূরুল হক নাফিউ(২৪) সকাল ১১টায় বন্ধুদের সাথে ট্রলারে করে পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের পাশের চরে ঘুরতে যান। পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ও  ট্রলার চালকসহ ওই চারজন পদ্মায় গোসল করতে নামে। সে সময় প্রচণ্ড স্রোতে পানিতে ডুবে দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়।

পরে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এদের মধ্য সব্যসাচী সৌম্যর(২৯) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। সোম্য এবং নিফিউ দুজনেই ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

নিখোঁজ নূরুল হক নাফিউ রাজধানীর বাড্ডার নতুন বাজার এলাকার শরিফুল হক ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে। শুক্রবার রাত ৭টা পর্যন্ত সৌম্যর খোঁজে অভিযান পরিচালিত হয়। 

শনিবার সকাল ৭টা থেকে ফায়ার সার্ভিস, কোষ্ট কার্ড এবং নৌ পুলিশ যৌথভাবে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে পদ্মা নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় অভিযান পরিচালনা করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে উদ্ধার কর্মীরা। 

এদিকে প্রিয় স্বজনের খোঁজে নির্ঘুম রাত পার করেছেন নাফিউর এর পরিবারের সদস্যরা। সকাল থেকেই পদ্মার চরে অপেক্ষায় ছিলো নাফিউর আত্মীয়রা। নিখোঁজের ফুপাতো ভাই মোস্তাফা নেয়ামুল হক সরকার জানান, সকাল থেকেই অপেক্ষায় আছি। প্রশাসন যথেষ্ট চেষ্টা করছে। নিখোঁজের মামাতো ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, বাড়িতে নাফিউর বাবা—মা কিছুক্ষণ পর পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।

কোষ্ট গার্ডের জুনিয়র কমিশন অফিসার এম শাজাহান জানান, সকাল ৭টা থেকে অভিযান শুরু করেছি। নদীতে প্রচন্ড স্রোতের কারণে অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। 

লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মতিন বলেন, নিখোঁজকে উদ্ধারে সকাল থেকে অভিযান চলে। পরে খবর পাই সাফিউর এর মরদেহ তেউটিয়া ইউনিয়নের বর্নপাড়া গ্রামের পাশে নদীতে ভেসে উঠেছে। আমরা মরদেহটি সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। 

শুক্রবার বিকাল ৪টায়  সব্যসাচী সৌম্যর লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের পরে লাশ বুঝে নেন সৌম্যর বাবা সরোজ দাস।

আরএক্স/