ভাঙ্গায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, ৭ই জুন ২০২৩


ভাঙ্গায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ

ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘ আট বছর যাবত বন্ধ থাকায় ওই ইউনিয়নের জনগণকে মারাত্মক সংকটে পড়তে হচ্ছে। তাদেরকে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার জন্য আসতে হচ্ছে। অত্র ইউনিয়নের বেশিরভাগ লোক কৃষিজীবী। 


তাদের মাঠের কাজ ফেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গায় চিকিৎসার জন্য আসা আর্থিক ও সময়ের ক্ষতি বলে তারা জানান। প্রায় এক একর জায়গায় নির্মিত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ১৯৭৭ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের একটি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়। 


ভাঙ্গা-ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেস ওয়ের  ভাঙ্গা উপজেলার পুলিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে পাথরাইল পর্যন্ত যে সড়কটি নির্মিত হয়েছে ,সেই সড়কটির পাশে  উথুলী পাতরাইল গ্রামে এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থান। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সামনের দিকে রয়েছে একটি হাসপাতাল এবং পিছনের দিকে রয়েছে একটি আবাসিক ভবন। 


উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসকগণ প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী দেখতেন এবং এ আবাসিক ভবনেই চিকিৎসকগণ বসবাস করতেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন চাকলাদার তাজুল ইসলাম। তিনি অবসরে চলে যাওয়ার পর জনবল সংকটে হাসপাতালে আর কোন ডাক্তার আসেননি। 


এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং নতুন করে ডাক্তার নিয়োগ না হওয়ায় হাসপাতালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে হাসপাতালটির আঙ্গিনা এখন  ঝোপ জঙ্গলে ভরে গেছে ।  


এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি হাসপাতালটি আবার চালু হোক। তাহলে তাদের সুবিধা হবে। এ প্রসঙ্গে আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের সুভাষ মন্ডল বলেন, আমাদের ইউনিয়নের বেশিরভাগ লোক আর্থিকভাবে দুর্বল। আমরা অচিরেই আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুবিধার জন্য হাসপাতালটি চালু করার আবেদন জানাচ্ছি।


এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা প্রাণেশচন্দ্র পন্ডিত দৈনিক জনবাণীকে বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার খবর পেয়ে আমি দুই দফা পরিদর্শন করেছি। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছে। 


ফরিদপুর -৪ আসনের মাননীয় সাংসদ মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন সহ সকলেই হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হতে বলেছেন। আশা করছি আগামী জুলাই মাসে উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গনকে সাথে নিয়ে হাসপাতাল ভবনটি পরিষ্কার করে স্বল্প পরিসরে হলেও  আমরা চালু করব।


আরএক্স/