থমথমে গোপালগঞ্জ, চলছে কারফিউ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে গোপালগঞ্জে ভয়াবহ সহিংসতায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৯ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকালে এনসিপি’র ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শীর্ষক পদযাত্রা শুরু হওয়ার পরপরই শহরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপির দাবি, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মিছিল ও সমাবেশে বাধা দিয়ে হামলা চালায়।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে সদর উপজেলার কংশু, পৌর পার্ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায়। পুলিশের গাড়ি, ইউএনওর বহর, জেলা কারাগার ও সমাবেশস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়।
দুপুর ২টার কিছু পর সমাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির শীর্ষ নেতারা। সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও তাদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তার অভাবে তারা জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে সন্ধ্যায় এনসিপির শীর্ষ নেতাদের গোপালগঞ্জ থেকে সরিয়ে খুলনায় নেওয়া হয়।
এনসিপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হামলাকারীরা বিভিন্ন মসজিদে প্রবেশ করে মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক অবরোধ করে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকাতেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, "দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।" meanwhile, পুলিশ সদর দপ্তরের এক সূত্র জানিয়েছে, গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শহরে প্রবেশের পথে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করায় অনেক পুলিশ সদস্য পৌঁছাতে পারেননি।