রংপুর ভুট্টা ক্ষেতে মিললো ভিজিএফের ৬০ বস্তা চাল
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৩২ অপরাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৩
রংপুর সদরের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারি বরাদ্দের ৬০ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেলে চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের পিছনের ভুট্টা ক্ষেত থেকে এসব চাল উদ্ধার হলেও ঘটনাটি বুধবার (১৪ জুন) সকালে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় জুয়েল, মোকছেদ, মিলনসহ কার্ডধারী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ জুন) ছিল ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল বিতরণের দিন। ওই দিন চাল বিতরণের ফাঁকে বিকেলের দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে পরিষদের পিছনের একটি ভুট্টা ক্ষেতে গেলে সেখানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে এলোমোলো ভাবে ভিজিডির চালের বস্তাগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপস্থিত লোকজন ভুট্টা ক্ষেতে ঢুকে চালের বস্তাগুলো যে যার মতো করে নিয়ে যায়।
এদিকে এতগুলো চালের বস্তা কে বা কারা ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখেছে, এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যরা কেউই মুখ খুলেনি। অন্যদিকে কেউ এই চালের দায়ভার না নেয়ায় লোকজন যে যার মতো বস্তা ভর্তি চাল নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমি হজ করতে যাচ্ছি তাই চাল বিতরণ ও দেখভালের জন্য ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও রত্না পারভীনকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল।
আরও পড়ুন: রংপুরে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও ফাঁস, লাপাত্তা শিক্ষক
তিনি আরও বলেন, চাল বিতরণকালে ট্যাগ অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এবং বিকেল ৪ টার মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন করে সকলে চলে যায়। কিন্তু কিভাবে এতগুলো চালের বস্তা পরিষদের বাইরে গেল তা আমার বোধগম্য নয়। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৩ হাজার ৬৪ জন ভিজিএফ (চাল) খাদ্যশস্য উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের করার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত নারী সদস্য রত্না পারভীনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। আর ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম এনিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নূর নাহার বেগম, সদর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত সরকার প্রমুখ।
রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে, তা তদন্ত করে বের করা হবে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে।
জেবি/ আরএইচ/