ঘৃুরে আসুন সিলেটের ৭টি আকর্ষণীয় স্থানে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বর্ষায় প্রকৃতি
সেজে ওঠে রঙিন সাজে। এ সময় প্রকৃতি তার সবটুকু রং-রস ছড়িয়ে দেয় মানুষের মাঝে। প্রকৃতির
এমন রূপ দেখতে তাইতো বিশ্বের ২য় রাজধানি সিলেট দর্শনে বেরিয়ে পড়েন পর্যটকরা।
সিলেটের বেশ
কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আছে, যেখানকার সৌন্দর্য শুধু শীতে গেলেই দেখা যায়। তাই শীতের
মৌসুমে সিলেট ভ্রমণে গেলে অবশ্যই সেসব স্থানে যেতে ভুলবেন না। জেনে নিন শীতের সিলেট
ভ্রমণে যা যা দেখবেন।
জাফলং:-
প্রকৃতি কন্যা
হিসেবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। সিলেট ভ্রমণে যাবেন; অথচ জাফলং যাবেন
না তা কি হয়! খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ
লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়।
সীমান্তের ওপারে
ইন্ডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি
ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেলপানি,উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে
এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।
সিলেটনগরী থেকে
৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং এর অবস্থান। জাফলংয়ে শীত মৌসুমের
সৌন্দর্যের রুপ ভিন্ন। কয়েক হাজারফুট উপর থেকে নেমে আসা সফেদ ঝর্ণাধারার দৃশ্য যে কারোরই
নয়ন জুড়ায়।
লালাখাল:-
স্বচ্চ নীল
জলরাশি। দুই ধারে প্রাকৃতিক দৃশ্য। অপরুপ সোন্দর্যময় এক স্থান হলো লালাখাল। দীর্ঘ নৌ
পথ ভ্রমণের সাধ যেকোনো পর্যটকের কাছেই যেন এক দূর্লভ আর্কষণ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের
স্থান এটি। সেইসঙ্গে রাতে সেখানকার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
সিলেট জেলার
জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত লালাখান। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের
অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত।
মাধবকুণ্ড:-
সিলেটের মৌলভীবাজার
জ়েলারবড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলিতে অবস্থিত। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে অন্যতম এই স্থানটিতে
বর্তমানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের রেস্টহাউজ ও রেস্টুরেন্ট আছে। এই ইকোপার্কের
অন্যতম আকর্ষণ হলো মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, পরিকুণ্ড জলপ্রপাত, শ্রী শ্রী মাধবেশ্বরের তীর্থস্থান
এবং চা বাগান।
রাতারগুল:-
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। সেখানকার সৌন্দর্য দেখলে যে কেউ মুগ্থ হয়ে যাবেন। হিজল গাছের সারি ডুবে আছে পানিতে। তার ফাঁক দিয়ে নৌকায় চলাচল করার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এই জলাবনে গেলে। ইঞ্জিন ছাড়া বৈঠা বাওয়া নৌকা দিয়ে এ বনে প্রবেশ করতে হয়।
হরেক রকম পাখিরও
দেখা পাবেন সেখানে। মনে রাখবেন জলাবন একটি সংরক্ষিত বন, এখানে কোনো রকম হৈ-হুল্লোড়
করবেন না, অপচনশীল কোনো দ্রব্য পানিতে নিক্ষেপ করবেন না। বনের মধ্যে একটি ওয়াচ টাওয়ার
আছে সেখানে উঠে উপর থেকে বনটা দেখতে পারবেন।
বিছানাকান্দি:-
মেঘালয়ের কোল
ঘেঁষা সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত বিছানাকান্দি। এটি মূলত একটি পাথরের
কোয়ারী। হাদারপার থেকে নৌকা নিয়ে বিছানাকান্দি যাওয়ার পথটাও অনেক সুন্দর। পথের দু’পাশে
সবুজের ছড়াছড়ি। যেখানে পাথর নেই; সেখানে নদী বেশ খরস্রোতা।
হাকালুকি হাওর:-
এটি বাংলাদেশের
সবচেয়ে বড় হাওর। এর আয়তন ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর। শুধু বিলের আয়তনই ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর।
ভূ-তাত্ত্বিকভাবে এর অবস্থান উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড় এবং পূর্বে ত্রিপুরা পাহাড়ের
পাদদেশে। এই হাওরে ৮০-৯০টি ছোট, বড় ও মাঝারি বিল আছে। শীতকালে এসব বিলকে ঘিরে পাখিদের
বিচরণে মুখর হয়ে উঠে গোটা এলাকা।
শ্রীমঙ্গল :-
শ্রীমঙ্গল নাম
শুনলেই যেন মনের মধ্যে চা বাগানের ছবি ফুটে উঠে। আর সেই চা বাগান গুলোতে এখন যেন চলছে
পূর্ন যৌবন,বৃষ্টিজল চা গাছের পাতায় পরা মানেই তাদের সবুজ আভার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি...
শ্রীমঙ্গল আসলেই এখন আপনার চোখ জুড়িয়ে মনেও বয়ে চলবে অবারিত প্রশান্তি ধারা,চারিদিকে
যেদিকেই চোখ পরবে সবুজ আর সবুজ
জি আই/