আমি ৫ মিনিট আগে গেলেই আর মেয়ে পুড়ত না: মা শারিমন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৩৪ অপরাহ্ন, ২৩শে জুলাই ২০২৫


আমি ৫ মিনিট আগে গেলেই আর মেয়ে পুড়ত না: মা শারিমন
ফাইল ছবি

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মেয়ের পাশে থাকতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৫ তলায় পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডের দরজার সামনে বসে ছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শেখ সায়েবা মেহেজাবিনের মা শারিমন ইয়াসমিন সুরভি। 


তিনি বলেন, স্কুল ছুটি শেষে সায়েবা দোলনায় খেলছিল। ও আমাকে দেখে ডেকেছিল, তারপর আগুনের মধ্যে পড়ে যায়। ওর শরীরের পেছনের অংশ পুড়ে গেছে। সায়েবার শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। সায়েবারা চারজন ছিল দোলনায়। হঠাৎ জোরে আওয়াজ পেয়ে আমি কলেজ মাঠে ছুটে যাই।


আরও পড়ুন: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৮ জন সঙ্কটাপন্ন: পরিচালক


তিনি জানান, সেখানে একজন লোক ও এক শিক্ষক গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ওই লোক আর শিক্ষকই সায়েবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিস্ফোরণের পর আমি মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ছোট ছেলে সা’দকে কোলে নিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম। দোলনার পাশে মেয়ের ব্যাগ দেখতে পাই, কিন্তু মেয়েকে না। ব্যাগ নিতে যেতে পারিনি, কেউ যেতে দিচ্ছিল না।’


সায়েবার মা আরও বলেন, পরে একজন ফোন করে বলে সায়েবা লুবানা হাসপাতালে আছে। এরপর ফোন করে বলেছে ঢাকা মেডিকেলে আনতেছে। তখনও বড় ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, সেও মাইলস্টোনে ক্লাশ নাইনে পড়তো। তবে সে আগে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় চলে গিয়েছিল। বাসায় গিয়ে ছেলেকে পেয়েছি।


আরও পড়ুন: রাজধানীর স্কুলে আগুন


 শারিমন ইয়াসমিন জানান, তাদের বাসা উত্তরা তুরাগ থানার খালপাড় এলাকায়।


কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর সায়েবা বলেছে, ‘আম্মু তুমি দেরি করছো কেন? আমি মাত্র ৫ মিনিট দেরি করেছিলাম। যদি এই দেরি না করতাম, আমার মেয়ে আজ ভালো থাকত।’ কথাগুলো বলতেই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন শারিমন।


এমএল/