লেবাননের কাছে হেরে সাফ শুরু বাংলাদেশের

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটা হলো হতাশা দিয়ে। লেবাননের কাছে  ২-০ গোলের হার দিয়ে শুরু করল জামাল-তপুরা। মধ্যপ্রাচ্যের দলটির হয়ে জয়সূচক গোল দুটো করেন হাসান মাতুক ও খলিল বদর।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয় লেবানন। যার ফলে গোলবারের নিচে বেশ ব্যস্ত সময়ই কাটাতে হয় গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে। পুরো ৪৫ মিনিটে ৭৬ শতাংশ বল দখলে রাখে লেবানন। গোলমুখে শট নেয় দুটি। অপরদিকে, বলের নিয়ন্ত্রণ কম পেলেও ফাঁক পেয়ে আক্রমণে গিয়ে লেবাননের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে দূর থেকে জাল বরাবর মাটি কামড়ানো শট নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু তা সহজেই তালুবন্দী করেন লেবানন গোলরক্ষক। ৩৫ মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় লেবানন। কিন্তু সাদেকের শট লাফিয়ে উঠে ঠেকিয়ে দেন জিকো।  ৪৩ মিনিটে ফের আক্রমণে ওঠে কাবরেরা শিষ্যরা। ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তবে তার শট লেবাননের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে লাইনের বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পাওয়া সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

আরও পড়ুন: স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতল বাংলাদেশ

বিরতির পরে ৬০ মিনিটে গোলের সেরা সুযোগটি পায় বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত দিয়ে ফাঁকা জায়গায় বল নিয়ে বক্সের  দিকে এগোচ্ছিলেন ফাহিম। তার সামনে বাধা কেবল লেবানন গোলরক্ষক। কিন্তু সেই বাধাই টপকাতে পারেননি ফাহিম।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ বয়কট করার পরামর্শ দিলেন মিয়াদাদ

পরে ৮০ মিনিটে এসে ডেডলক ভাঙে লেবানন। মাঝমাঠে কাটব্যাক করতে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তারিক কাজী। সেই বল পায়ে নিয়ে বক্সের দিকে দ্রুত এগিয়ে যান দারউইচ। তার পাস থেকে জিকোকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি মাতুক।

যদিও সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া শেষ মুহূর্তে আক্রমণের সুযোগ পায় বেশ। কর্নারও পেয়েছিল দুটি। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেনি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লেবানন।

জেবি/এসবি