১ মাসে ১ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল পেলেন বৃদ্ধা!
সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত)
প্রকাশ: ১২:৩৬ অপরাহ্ন, ২৪শে জুন ২০২৩
বাড়িতে মাত্র ২টি বাল্ব জ্বলে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল যখন হাতে ফেলেন, বিলের টাকার পরিমাণ দেখে " হার্ট অ্যাটাক" হওয়ার উপক্রম বৃদ্ধার।
শুধু ১ মাসের বিলই পাঠানো হয়েছে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। গিরিজাম্মা (৯০)। ভারতের কর্ণাটকের ভাগ্যনগরের এক চিলতে ঘরে বাস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় ফিরলে বিনামুল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।
কিন্তু তার ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়ল ভাগ্যনগরের গিরিজাম্মার ঘরে। বিনামুল্যে বিদ্যুৎ তো পাননি, বরং বিদ্যুৎ বিলের বিশাল বোঝা তাঁর ঘাড়ে চেপেছে। তা ও আবার মাত্র ২টি বাল্ব জ্বালানোর জন্য! ঘটনাচক্রে রাজ্য সরকারের " ভাগ্যজ্যোতি" প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুৎ সংযোগ পেরেছিলেন গিরিজাম্মা।
এই প্রকল্পের অধীনে দারিদ্য সীমার নীচে বসবাসকারী ( বিপিএল ) বস্তির মানুষদের নূন্যতম মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। আর এই প্রকল্প অনুযায়ী ১৮ ইউনিট পর্যন্ত বিনামুল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে গিরিজাম্মার মতো বিপিএল কার্ড হোল্ডারদের। একমাসে এক লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পেয়ে দিশেহারা।
গিরিজাম্মার দাবি, প্রতিমাসে ৭০-৮০ টাকার বিদ্যুৎ বিল দেন। কিন্তু একমাসে এত বিল দেখে তিনি স্তম্ভিত। তাঁর কথায়, " বাড়ির বাইরে একটি বাল্ব জ্বলে এবং ভিতরে আর একটি। না আছে টিভি, না আছে মিক্সার গ্রাইন্ডার।
তারপরে ও এত বিল এল কীভাবে " তিনি বিদ্যুৎ দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে গিরিজাম্মা বলেন, "গুলবর্গা বিদ্যুৎ দফতরে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু আধিকারিকরা বলেছেন, বিলে যে পরিমাণ টাকা এসেছে তা মেটাতে হবে।"
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রা গিরিজাম্মার বাড়িতে যান। তাঁরা দেখেন, বৃদ্ধার বাড়িতে যে মিটার বসানো হয়েছে সেটি পুরনো এবং ক্রটিপূর্ণ। তারপরই তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরে ক্ষোভ দেখান। ক্ষোভের মুখে পড়ে বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রতিনিধিরা এসে আশ্বাস দেন মিটার বদলে দেওয়া হবে। গিরিজাম্মার বিল ও শুধরে দেওয়া হবে।
আরএক্স/