ঈদগাহে শুধু জায়নামাজ-ছাতা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৮শে জুন ২০২৩


ঈদগাহে শুধু জায়নামাজ-ছাতা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ সময় তিনি ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে না আসার অনুরোধ করেছেন।


বুধবার (২৮ জুন) সকালে ঈদগাহে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।


কমিশনার বলেন, ঢাকায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার লোক নামাজ পড়বেন। যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।


ঈদের সময়টাতে জাতীয় ঈদগাহসহ গোটা রাজধানীজুড়ে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। কমিশনার বলেন, এবারে ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কয়েকস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।


ডিএমপি প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন ইউনিটের পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংও স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকবে। এছাড়া, অন্য কোনো হুমকি থাকাকালে সিটিটিসি প্রস্তুত থাকবে।


আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে ৩ স্ত‌রের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার


জাতীয় ঈদগাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডেরর মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। র‍্যাবও ফোর্স নিয়োগ করবে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।


ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাতে অনেকেই বাসা খালি রেখে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন, সেখানেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আশা করছি সে অবস্থা বজায় থাকবে। ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে যোগাগাযোগ থাকবে। কোনো তথ্য আমাদের জানালে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এটেন্ড করবে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কসাইয়ের ছদ্মবেশে রেকি করে অপরাধের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে জানিয়ে দিন। যে কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।


জেবি/ আরএইচ/