মির্জাপুরে পাকা রাস্তার অভাবে জন-দূর্ভোগ চরমে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, ২রা জুলাই ২০২৩


মির্জাপুরে পাকা রাস্তার অভাবে জন-দূর্ভোগ চরমে
কাঁচা রাস্তা

টাংগাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের হলিদ্রাচালা একটি জনবহুল এলাকা।এখানে মাত্র দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তার অভাবে এই বর্ষাকালে এখানকার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।


এখন মৌসুমি ফল অর্থাৎ জাতীয় ফল কাঁঠালের সময়, এই এলাকা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪/৫ কোটি টাকা মূল্যের কাঁঠাল চালান হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। হলিদ্রাচালা সলিম উদ্দিনের বাড়ির নিকট হইতে অভিরামপুর খালের পাড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তার পাশ দিয়ে রয়েছে ছোট ও মাঝারি উদ্দোক্তাদের বেশ কিছু পোল্ট্রি খামার।


স্হানীয় ও বাহিরের এলাকার কাঁঠালের ব্যবসায়ীরা বলেন, এই দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারনে আমাদের প্রতি কাঁঠালে ৮ থেকে ১০ টাকা অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়।


কাঁঠালের ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, মাত্র এই দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হলে আমরা প্রতি কাঁঠাল ভোক্তা পর্যায়ে ১০টাকা করে কমে পৌঁছে দিতে পারব, পাশাপাশি আমাদের পরিশ্রমও অনেকাংশে কম হবে।


স্হানীয়রা বলেন,আমরা হলিদ্রাচালাবাসী প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার আওয়ামিলীগ অর্থাৎ নৌকার সমর্থক। 


স্হানীয়রা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের নিকট আমাদের রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি করে আসছি।আমাদের প্রয়াত সাংসদ আলহাজ্ব একাব্বর হোসেন জীবিত থাকাকালীন আমাদেরকে আস্বস্ত করে বলেছিলেন,হলিদ্রাচালা সলিম উদ্দিনের বাড়ির নিকট হইতে অভিরামপুর খালের পাড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের অনুমোদন করানো হয়েছে যাহার কোড নম্বর ৩৯৩৬৬৫১৭৩।


এরপর উপজেলা প্রকৌশলী রাস্তাটি বেশ কয়েকবার মেপেছেও, কিন্তু পরিতাপের বিষয়,এর পরে আর কোন জনপ্রনিধিই রাস্তাটির খোঁজ রাখেনি।


স্হানীয়রা বলেন,বিভিন্ন সময় নির্বাচন আসে আর নির্বাচন এলে রাস্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়,কিন্তু দূঃখের বিষয় সেই প্রতিশ্রুতি-প্রতিশ্রুতিই রয়ে যায়।বর্ষাকালে এক পসলা বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় চলতে যেন ভোগান্তির কোন শেষ নেই এই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর।


প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল গ্রামকে শহরের মর্যাদা দিবেন, প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাস্তাটি যাহাতে দ্রুত পাকাকরণ করা হয় এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের  দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্হানীয়রা।


আরএক্স/