‘লক্ষ্মীপুরের লোকসাহিত্য সংস্কৃতি ও বিশ্বাস’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘লক্ষ্মীপুরের লোকসাহিত্য সংস্কৃতি ও বিশ্বাস’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

উপকূলীয় জনপদ লক্ষ্মীপুর জেলাবাসীর আচার-আচরণ কৃষ্টি-কালচার সাহিত্য সংস্কৃতি ও বিশ্বাস নিয়ে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ- লক্ষ্মীপুরের লোকসাহিত্য সংস্কৃতি ও বিশ্বাস বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় সোমবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও জাতীয় বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কম্পট্রোলার অডিট জেনারেল কেএম সিরাজুল মুনীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করেন দিকদর্শন প্রকাশনী লিমিটেড ও গ্রন্থকুটির এর কর্ণধার এবং উক্ত গ্রন্থের প্রকাশক রতন চন্দ্র পাল, কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যাপক কমল কুমার সাহা, আসমা জাহান। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন লক্ষ্মীপুরের লোকসাহিত্য সংস্কৃতি ও বিশ্বাস গ্রন্থের লেখক গবেষক কবি ও বিশিষ্ট কলামিস্ট অ আ আবীর আকাশ।



এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে লেখক জানান- এক যুগের বেশি সময় ধরে রসের ফোঁটার মতো তিল তিল করে জমানো তথ্যের আয়োজনে বইটি পরিপূর্ণতা পেয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলার পরোতে পরোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মানুষের মুখে মুখে কবিতা পুথি গান ধাঁধা জারি সারি লোকগীতি ভাটিয়ালি লোককাহিনী।  এসব পল্লী সাহিত্যের রস ও রত্ন সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যায়। পল্লিসাহিত্য সংরক্ষণের টান অনুভব করেই লক্ষ্মীপুর গ্রাম-গঞ্জ চর-চরাঞ্চল নদীরপাড় দীপের  মানুষের জীবনমান সুখ দুঃখ ভালো মন্দ আচার-আচরণ প্রচলিত নানা রকম বিশ্বাস নিয়ে গবেষণা করে লেখা লক্ষ্মীপুরের লোকসাহিত্য সংস্কৃতি ও বিশ্বাস বইটি।

প্রধান অতিথি কে এম সিরাজুল মুনীর বলেন-বইটি লক্ষ্মীপুর জেলা ও জেলাবাসীকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বইটি গবেষণার বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অসামান্য গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে জেলার একমাত্র কিশোর মুক্তিযোদ্ধা কে এম মাজহারুল মনির সবুজকে। উনি আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। আমরা বইটির সফলতা ও লেখকের দীর্ঘায়ু কামনা করি। 

বিশেষ অতিথি প্রকাশক রতন চন্দ্র পাল বলেন-অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বইটির প্রকাশক হতে পেরে আমি গর্বিত। লেখক অ আ আবীর আকাশ অত্যন্ত যত্ন নিয়ে এক যুগের বেশি সময় ধরে বইটির রসদ যুগিয়েছেন। আমি তার মঙ্গল কামনা করি।

বইটির প্রয়োজনীয়তা কখনোই ফুরিয়ে যাবে না বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

এসএ/